অতিথি প্রতিবেদক : সোনালী ব্যাংক পিএলসি’র বিনা শাখা সরকারি সম্মানি তথা ভাতাগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের সম্মানে সৌজন্য চা চক্রের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্যাফেটারিয়ায় ব্যাংক শাখার আয়োজনে সৌজন্য চা চক্রে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযোদ্ধা প্রাতিষ্ঠানিক কমান্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর সিরাজুল ইসলাম, বদিউজ্জামান, আমজাদ হোসেন, সেকান্দর আলী, সত্যেন্দ্র চন্দ্র দাস, কাজী মতিন, আতাহার আলী, ইন্তাজ আলী, আবুল মনসুর তরফদার, আব্দুল জব্বার, ইব্রাহীম খলিল, আব্দুল মালেক ফকির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পিছনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তাদের অভিজ্ঞতা ও রোম হর্ষক জীবন্ত গল্পগুলো সকলের সাথে শেয়ার করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ তাদের সম্মানে আয়োজিত সৌজন্য চা চক্রের আয়োজনে সোনালী ব্যাংকের শাখা ম্যানেজারসহ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন উপজেলা শাখায় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ সরকার প্রদেয় সম্মানী ভাতা গ্রহণের জন্য ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করে থাকেন এবং তাঁদের সম্মানীর অর্থ উত্তোলনের জন্য সোনালী ব্যাংকের বিনা শাখায় চেক উপস্থাপন করেন। কার্যত তাঁদের কারোরই ব্যাংক হিসাব বিনা শাখায় নয়। সম্মানীর টাকা উত্তোলনের লক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে কখনো লাইনে দাঁড়াতে হয়না। উনাদেরকে সরাসরি চেম্বারে বসিয়ে আমি নিজে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চেক লিখে দিয়ে ক্যাশ মানি উনাদের হাতে দিয়ে থাকি। আমি বিশ্বাস করি বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ বিনির্মাণে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যে ত্যাগ এইটি তাঁদের পাওনা। বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের সম্মানে সৌজন্য চা চক্রের আয়োজনে এমনতর মনোভাবের কথা জানালেন সোনালী ব্যাংকের বিনা শাখার শাখা ম্যানেজার প্রিন্সিপাল অফিসার আবুল কালাম আজাদ।
এসময় সোনালী ব্যাংক শাখার সিনিয়র অফিসার অভিজিৎ সরকার ও অফিসার জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে গেস্ট অব ওনার হিসেবে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এর নির্বাহী কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।