ভালুকা প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ভালুকায় টেন্ডার ছাড়াই রেঞ্জ অফিসের পাশ থেকে বিশাল আকারের বেশ কয়েকটি আকাশমনি ও কাঁঠাল গাছ কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে বনবিভাগ বলছে, পরবর্তিতে টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলো বিক্রি করা হবে। ঘটনাটি উপজেলার হবিরবাড়ি এলাকায় অবস্থিত ভালুকা রেঞ্জে।
সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, রেঞ্জ অফিসের উত্তর পাশে প্রায় ৫০ ফুট ইটের প্রাচীরসহ চারপাশে কাটাতাঁরের বেড়া দেয়া হচ্ছে। আর এই সুযোগে রেঞ্জ অফিসের উত্তর পাশে সাড়িবদ্ধ অন্তত ৩০/৩৫ বছর বয়সি বেশ কয়েকটি আকাশমনি ও কাঠাল গাছ কাটা হয়েছে। তবে যে সব গাছগুলো কাটা হয়েছে,কাটা গাছ গুলো রেঞ্জ অফিসের ভেতর পাওয়া যায়নি। কিছু কাঠ আছে, সিলমোহর দেয়া এবং দুইটি কাঁঠাল গাছের গুঁড়ি রাখা আছে। এ সময় গাড়িচালক সুমন মিয়ার (আউট সোর্সিং এ কর্মরত) কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, দু’টি কাঁঠালগাছের মাঝে একটি অফিসের সামনে ছিলো এবং অপরটির ব্যাপারে তিনি জানেন না বলে জানান।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গাছগুলো সড়িয়ে ফেলা হয়েছে এবং ওই সিন্ডিকেটের সাথে ড্রাইভার সুমন, চেকপোস্টের দায়িত্বে থাকা স্টাফ গিয়াস উদ্দিন ও লবনকোঠা গ্রামের জনৈক নাজমুল নামে তিন ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারেন। বর্তমান বাজারে গাছগুলোর মূল্য প্রায় তিন লাখ টাকার হবে। স্থানীয়রা আরো জানান,কাটা তারের ভেড়ার কাজ রেঞ্জ অফিস থেকেই করানো হচ্ছে। কাটাতাঁরের যে বেড়া দেয়া হচ্ছে, তার মান তেমন ভালো না।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ওবায়দুল হকের সত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ ওবাইদুল হক জানান, ভ্যাট টেক্স বাদ দিয়ে প্রায় ৭ লাখ টাকার রেঞ্জ অফিসের কাটাতাঁরের বেড়ার কাজ পেয়েছেন এবং কাজটি প্রায় শেষ হওয়ার পথে।
বিভাগীয় বনকর্মকর্তা ময়মনসিংহ (ডিএফও) মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ জানান, টেন্ডারের মাধ্যমেই রেঞ্জ অফিসের চারপাশে কাটাতাঁরের বেড়া দেয়া হচ্ছে। জরুরী প্রয়োজনে কয়েকটি গাছ কাটা হয়েছে, পরবর্তিতে টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলো বিক্রি করা হবে।
ভালুকার রেঞ্জার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ জানান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তার (ডিএফও) লিখিত অনুমতি নিয়েই ৮/১০ টি গাছ কাটা হয়েছে এবং গাছগুলো অফিসের সামনে রাখা আছে। পরবর্তিতে টেন্ডারের মাধ্যমে তা বিক্রি করা হবে। অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, কাটাতাঁরের বেড়ার বিষয়ে টেন্ডার দেয়া হয়েছে। প্রায় ১০ লাখ টাকার কাজটি ভালুকা উপজেলার আঙ্গারগাড়া বিটঅফিসার মাজহারুল ইসলামের বড়ভাই ওবাইদুল হক পেয়েছেন।