ভালুকা প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ভালুকার কাদিগড় মৌজার ২৫২নং দাগেরতালাব গ্রামে বনবিভাগের প্রায় চারকোটি টাকা মূল্যের জমি রফিকুল ইসলাম নামে এক প্রভাবশালী দখল করে বিশাল আকারের টিনসেট দেয়াল ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। রহস্যজনক কারণে স্থানীয় বনবিভাগ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভালুকার সিডস্টোর লবণকোটা গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে রফিকুল ইসলাম ভালুকা রেঞ্জের কাদিগড় বিটের আওতায়কাদিগড় মৌজার বনবিজ্ঞপ্তি ২৫২ নম্বর দাগে তালাব গ্রামের কয়েকজনের কাছ থেকে কিছু জমি ক্রয় করেন। পরে ওই জমির সাথে স্থানীয় রতনের ভিটায় বনবিভাগের প্রায় চারকোটি টাকা মূল্যের ৪একর জমি দখলে নেন এবং বিভিন্ন ধরণের স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ চলছে।

জমির দাবিদার রতন মিয়া জানান, পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত ওই জমি নিয়ে বনবিভাগের সাথে তাদের মামলা চলছে। কিন্তু রফিকুল ইসলাম পাশের সিএস ৩০৭ নম্বর দাগে কিছু নামা জমি ক্রয় করে তাদের বাড়িটি বাদ দিয়ে ২৫২ দাগের রতনের ভিটাটি দখলে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করে চলেছেন।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, রফিকুর ইসলাম নামে এক প্রভাবশালী বনবিভাগের কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ওই জমিটি দখলে নিয়ে গত দেড় মাস ধরে স্থাপনা নির্মাণের কাজ চালালেও রহস্যজনক কারণে বনবিভাগের লোকজন রফিকে কাজে সহযোগিতা করেছেন।

অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয় মজিবর রহমান ও তার বোনদের কাছ থেকে ২০২২ সালে সাফকবলা দলিল মূলে ২৫২ নম্বর দাগে ৯৬ শতাংশ জমি কিনে তিনি স্থাপনা নির্মাণ করছেন। বন থেকে অবমুক্ত করার জন্য আদালতে মামলা করেছি। খুব শিঘ্রই মামলাটির রায় হয়ে যাবে।

ভালুকা রেঞ্জের কাদিগড় বিট অফিসার আনোয়ার হোসেন খান, কাদিগড় মৌজার ২৫২ নম্বর দাগে মোট জমির পরিমান রয়েছে ২৬২ একর, যার পুরোটাই বনবিভাগের। রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি তাদের জমি দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ওই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

ভালুকা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: হারুন অর রশিদ খান জানান, কাদিগড় মৌজার ২৫২ নম্বর দাগের পুরো জমিই বনবিজ্ঞপ্তিত। জমি দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে।