ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ৮২নং তারাটি সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে স্কুলে অনুপস্থিতির অভিযোগ তোলেছেন কমিটির সভাপতি। লিখিত অভিযোগের পর সরেজমিন পরিদর্শণের পরও অজ্ঞাত কারণে নিরব রয়েছেন শিক্ষা অফিসার। এনিয়ে এলাকার সাধারণ অভিভাবকরা চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন।

সভাপতি মঞ্জু আহমেদ এর লিখিত অভিযোগে জানা যায়, স্কুলের সহকারি শিক্ষক আমিনুল ইসলাম সোহাগ, শফিক আহমেদ ভূইঁয়া ও খাইরুল ইসলাম ভূইঁয়া নিয়মিত দেরি করে স্কুলে আসেন। প্রধান শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া খেয়াল খুশি মতো বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করেন। তারা স্কুল এলাকায় বাড়ি হওয়ায় নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখবাল করেন। স্কুল চলাকালিন সময়েও শিশুদের ক্লাসে রেখে খামারের কাজ কর্ম ও দোকান পরিচালনা করেন।

এসব কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কমিটির সভায় বারবার তাদেরকে সতর্ক করা হলেও আমলে নেয়নি তারা। সাম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সভাপতি সকাল ৯.৫টায় বিদ্যালযে এসে শিক্ষকদের উপস্থিত নিয়ে একটি লাইভ ভিডিও প্রচার করেন। এবং স্থানিয় সংসদ সদস্যের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন।

সভাপতি আরো জানান, শিক্ষক আমিনুল ইসলাম সোহাগ উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতা হওয়ায় বেশির ভাগ সময়েই উপজেলা সদরে অবস্থান করেন। তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষা অফিসাররা।

শিক্ষক আমিনুল ইসলাম সোহাগ জানান, যেদিন সভাপতি ভিডিও লাইভ প্রচার করেছেন সেদিন তিনি ব্যাংকিং কাজে উপজেলা সদরে ছিলেন এবং স্থানীয় হিসেবে এলাকার অভিভাবকদের সাথে সকল কিছুই তাঁর মিটআপ করতে হয়। তিনি আরো জানান, সভাপতির সাথে শিক্ষকদের সামাজিক ভাবে অন্তদ্বন্দ্ব রয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভিন আহমেদ জানান, প্রায় সময়েই তারা দেরি করে বিদ্যালয়ে আসেন। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগটি তদন্ত হয়েছে পরে কি হলো তিনি জানেন না।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিলুফার হাকিম বলেন, ঘটনাটি লাইভ প্রকাশিত হওয়ার পর সরজমিন বিদ্যালয়ে গিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। ঘটনা সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদন উর্ধতন কর্তপক্ষকে প্রদান করা হবে। তাঁরা কি ব্যবস্থা নেয় সেটা বলতে পারি না।