মেহেদী হাসান সাকিব : “রাতে ঘুমাই না, ঘুমের মধ্যে যদি নদী ঘরটা ভাইঙ্গা নেয়, নিতে নিতে সব নিছে গা। এহন শুধু থাহার ঘরটাই আছে।” হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের বিধবা আছিয়া বেগম (৭০)।
তিনি বলেন, “সরকার কত মাইনষেরে ঘর দিতাছে, এই যে আমি পরিবার নিয়া এত কষ্ট করতাছি, কেউ তো কিছু দেয় না।”
সন্তান-নাতিসহ ৪ জনের পরিবার নিয়ে ভোগাই নদীর তীরে আছিয়া বেগমের বসবাস। প্রতিবছরই উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে আছিয়া বেগমের বাড়ি নদীগর্ভে বিলীনের পথে। ভিটেমাটি ছাড়া কিছুই নেই আছিয়া বেগমের। অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনোরকম দিন কেটে গেলেও জমি কিনে বাড়ি করার সামর্থ নেই তার। খুবই জরাজীর্ণ অবস্থায় দিন কাটছে আছিয়ার পরিবারের।
এমতাবস্থায় সরকারী সহায়তার আশা করেছেন বিধবার এ পরিবারটি।
স্থানীয়রা জানান, পরিবারটি খুবই অসহায়। দীর্ঘদিন ধরে তারা অনেক কষ্টে জীবন-যাপন করছে। ভোগাই নদীর তীব্র ভাঙ্গনের ফলে আজ তারা নিঃস্ব। আছিয়া বেগমের ছেলে বজলুর ইসলাম ফকির কিডনি রোগী হওয়ায় কোনো কাজ করতে পারে না। ফলে বৃদ্ধার একার উপার্জনে চলে সংসার।
বজলুর ইসলাম বলেন, আধাভাঙ্গা এই ভিটে ছাড়া আমাদের আর কিছুই নাই। সরকার থেকে একটু জায়গা আর একটা ঘর পাইলে মাথা গুজার ঠাঁই হতো।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, বিষয়টি আমি আগে থেকে অবগত নই। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।