ভালুকা প্রতিনিধি : ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির বহিস্কৃত যুগ্ম আহবায়ক ও ভালুকা উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত আহবায়ক ফখর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চুসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে (যার নাম্বার-১) তারিখ ২.০৯.২০২৪ইং।
আসামীরা বিএনপির নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে জোরপুর্বক আর্থিক সুবিধা আদায় করার অভিযোগে সোমবার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দলের যুগ্ন মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স মামলাটি করেন।
মামলা সূত্রে জানাযায়, বিএনপি'র নাম ব্যবহার করে গত ০৫আগস্ট হতে ৩১আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ভালুকা উপজেলাধীন বিভিন্ন শিল্প কারখানা ও প্রতিষ্ঠানে ফখর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চুর নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা আসামীগণ জোরপূর্বক অনৈতিক সুবিধা আদায় করে আসিতেছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত২৮আগস্ট দুপুর ৩টায় উপজেরাধীন ভালুকা পৌরসভা ৯নংওয়ার্ড কাঠালী এলাকায় অবস্থিত এল,জি বাটারফ্লাই কোং লিঃ ফ্যাক্টরির ভিতরে একই উদ্দেশ্যে বে-আইনী জনতাবদ্ধে বাচ্চুর হুকুমে অজ্ঞাতনামা অন্যান্য সহযোগী আসামীগণ অনধিকার প্রবেশ করিয়া কোম্পানির কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জোরপূর্বক অনৈতিক সুবিধা আদায় করতঃ হুমকি ও চাপ প্রয়োগ করেন। ইহা ছাড়াও ভালুকা থানাধীন বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে অনৈতিক সুবিধা আদায়সহ শান্তি, শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কল-কারখানায় স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘ্ন সৃষ্টি করার অভিযোগও তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে। গত ১সেপ্টেম্বর দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফখর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চু'র বিরুদ্ধে দলীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে দল থেকে তাঁকে বহিস্কার করা হয়েছে। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় বিএনপির পক্ষে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ভালুকা থানায় উপস্থিত হয়ে মামলাটি করেন।
স্থানীয়রা জানান, যে অপরাধের অভিযোগ এনে ত্যাগী,পুরখাওয়া নেতা ফখর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চুর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেতা হয়েছে তা খুবই দুঃখ জনক। কিছু নেতা আছেন যারা বিগত ১৫বছর দলীয় কোনো কর্মসূচীতে না গিয়ে বর্তমানে তারা শতাধিক কোম্পানি তাদের হাওলায় নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন। পক্ষান্তের ফখর উদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চু তিনি নিজের নামে কোনো কোম্পানির ব্যবসায় করেছেন না। দলীয় নেতা কর্মীদের দাবীর মুখে তিনি বেশ কয়েকটি সুপারিশ করে ছিলেন। ভালুকাতে এ ধরনের সুপারিশের রীতি বিগত আ’লীগের আমল থেকেই চলছে।
ফখর উদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চু জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়েছি। দলীয় নেতা কর্মীদের দাবীর প্রেক্ষিতে বৈধ ব্যবসার সুপারিশ করেছি। আমি দলীয় হাইকমান্ডের কাছে আবেদন করেছি পুরো ঘটনাটি সরেজমিনে তদন্তের জন্য।
এ বিষয়ে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স জানান,পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কিছু ব্যক্তি বিএনপির নাম ব্যবহার করে অনৈতিক কাজে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে সবাইকে বার বার সর্তক করে কিন্তু অভিযুক্তরা কথা শুনেনি।তিনি আরো বলেন দলের ভাবমুর্তি বিনষ্টকারী তাদের এখন শুধু সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নয়,আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নেতাকর্মীদের ১৫বছরের আত্নত্যাগ ও প্রতিশ্রুতি কিছু ব্যক্তির অপকর্মের জন্য প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে না। তারেক রহমান দলের হাইকমান্ড এ বিষয়ে তিনি জিরো টলারেন্স নীতিতে অবস্থান করছেন।
ভালুকা মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, রাত সাড়ে ১০টায় সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বাদী হয়ে ফখরউদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চুসহ অজ্ঞাতনামা ২০ জনের নামে একটি মামলা করেছেন।