ঝিনাইগাতী প্রতিনিধি :শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় ঐতিহ্যবাহি ময়মনসিংহ বন বিভাগের আওতায় রাংটিয়া রেঞ্জের গারো পাহাড়টিতে বিগত ১৫ বছরে অবৈধ ভাবে বালু পাথর উত্তোলন করার ফলে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে ন্যাড়া পাহাড়ে পরিণত হয়েছে।
পাহাড় দিয়ে বয়ে যাওয়া বিভিন্ন ঝর্ণা,খাল ও নদীর তীরবর্তী এলাকায় অবৈধ ভাবে চলে আসছে বালু ও পাথর উত্তোলন। ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে পাহাড়ের সবুজ ঘেরা সৌন্দর্য দৃশ্য বিলীন হয়ে গেছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইন শৃঙ্খলা সভার সিদ্বান্ত মোতাবেক বারবার ভ্রাম্যমান আদালত ও অভিযান পরিচালনা করা হলওে তা বন্ধ হয়নি। বালু ও পাথর খেকোরা বিগত ১৫ বছর অবৈধ ব্যবসা করে কোটিপতি বনে গেছে। তাদের হুমকির ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেত না। বনের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা অর্থের লোভে এই গারো পাহাড় ধবংসের দারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। গজনি ফরেষ্ট বিটে জব্দকৃত অবৈধ বালু পাথরের স্তপ এখনও দেখা যায় নামমাত্র।
পাহাড়ের বাকাকুড়া, তাওয়াকুচা, বালিজুরি, গজনি, গান্দিগাও, ছোট গজনি, বড় গজনি সহ অন্যান্য এলাকায় বিগত ১৫ বছরে সিন্ডিকেট করে চলছে এ অবৈধ ব্যবসা। কিছু মামলা হলেও গডফাদাররা রহস্যজনক কারণে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেছে।
এ ব্যাপারে আজ রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানান, সরকার পতনের পর একটি চক্র বন ধবংসের জন্যে উৎ পেতে ছিল তা কঠোর হস্তে দমন করা হয়েছে। এখন গারো পাহাড়ে কোথাও বালু ও পাথর উত্তোলন হয় না। আগের চেয়ে এখন নিরাপদে রয়েছে পাহাড়টি।
সচেতন মহল জানান বন ধবংসকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন অনেকেই।