স্টাফ রিপোর্টার : ব্রহ্মপুত্র নদের খনন কাজে অনিয়মের প্রতিবাদে স্মরণসভা হয়েছে। ‘সুন্দর শূন্য কিলোমিটার’ নামের একটি সংগঠন।
শুক্রবার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরের কাচারিঘাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে প্রতিবাদী কর্মসূচিটির আয়োজন করা হয়। গানে-সূরে ও সংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের খনন কাজে অনিয়মের প্রতিবাদ জানান শিল্পিরা। পানি কমতে থাকা ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে ‘স্মরণসভা’ আয়োজনের শুরুতেই কোরআন থেকে তিলাওয়াত ও দোয়া পড়ান শামীম আশরাফ। তার পর উপস্থিত সকলের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এরপর শুরু হয় প্রতিবাদী গান।মঞ্চের চারপাশে ছিলো প্রতিবাদী নানা শ্লোগান। গানে গানে শিল্পিরী প্রতিবাদী সূরের ঝংকার তুলে। চলে প্রতিবাদী কবিতাও। হীরক সিঙ্গার, মিজান বাউলা, অনিরুদ্ধ শুভদের গানে মুখর হয়ে উঠে ছুটির দিনে ব্রহ্মপুত্র পাড়ের বিকেল।
আয়োজক শামীম আশরাফ বলেন, ব্রহহ্মপুত্র মরেই গেছে আমরা ধরে নিয়েছি। তাই স্মরণসভা করবার জন্য আমরা এসেছি। সুরে সুরে, গানে গানে প্রতিবাদ করবো। কেন ব্রহ্মপুত্রকে মারা হলো, কেন পানি খাওয়া, বালু, মাছ খাওয়া হলো, কৃষক খাওয়া হলো। তিনি বলেন, আমরা দাবি জানাই, খননের নামে যারা লুটপাট করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এবং ব্রহ্মপুত্রকে পুরোনা সীমানা ফিরিয়ে দিতে হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ২ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের খননকাজ করছে। গাইবান্ধা, জামালপুর, ময়মনসিংহ, শেরপুর ও কিশোরগঞ্জ এই পাঁচ জেলায় নদের ২২৭ কিলোমিটার অংশ খনন করার কথা। কোনো কোনো এলাকায় খনন শেষ, কোনো কোনো এলাকায় কাজ চলছে, কোনো কোনো এলাকায় কাজ শুরু হয়নি। ২০১৯ সালে শুরু হওয়া খনন প্রকল্পিটি চলতি বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিলো। চলতি বছরের জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত কাজের সময় বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মহসিন মিয়া বলেন, প্রকল্পের কাজের শুরু থেকেই সমস্যা ছিলো জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদের উৎস্য মুখে খনন করতে না পারা। উৎস্যমুখ খনন করতে না পারলেও কোনো সুফল আসবে না। আমরা পুরোদমে কাজ চালুর চেষ্টা করছি।এই আয়োজনে মূল উদ্যোক্ত ছিলেন শামীম আশরাফ, কবি মামুন রনি, সাঈদ ইসলাম ও মমিনুর রহমান (প্লাবন)।