শফিউল আলম লাভলু : শেরপুরে যাত্রীবোঝাই দুই মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয় শিশুসহ অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। সোমবার ভোরে শহরের নবীনগর পাসপোর্ট অফিসের সামনে শেরপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হচ্ছেন সদর উপজেলার বাকারকান্দা এলাকার হযরত আলীর ছেলে রুস্তম আলী (৫৫), শ্রীবরদী উপজেলার মাহমুদুল হাসান শাহিনের মেয়ে তাবাসসুম (৫), ফিরোজ (৩৫), ফরিদা বেগম (৪২), মোয়াজ (৬), সোহানা (১২), সিয়াম (৬), লিটন (৪০), সুমন (৩৫)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাস দুইটির মধ্যে একটি ঢাকার এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে শেরপুর শহরের দিকে আসছিল। অপর মাইক্রোবাসটি সাভারের বাইপাইল থেকে শেরপুর আসে। সাভার থেকে আসা মাইক্রোবাসটি শেরপুরের গ্যাসপাম্প থেকে গ্যাস নিয়ে শেরপুর সদরের তারাকান্দির দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে শহরের নবীনগর এলাকার পাসপোর্ট অফিসের সামনের মহাসড়কে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে মাইক্রোবাস দুটি ছিটকে গিয়ে দুমড়েমুচড়ে যায়। বিকট শব্দ শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আরও ৮ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থা গুরুতর দেখে অন্তত ১০জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কারো মৃত্যু হয়েছে কিনা সেটি দায়িত্বশীল কেউ নিশ্চিত করতে পারেননি।

শেরপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক জাবেদ হোসেন মুহাম্মদ তারেক বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে মাইক্রোবাস কেটে বের করে মোট ৮ জনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। বাকীদের স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।

এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। আহত অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।