কলমাকান্দা প্রতিনিধি: নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় চাঁদা না দেওয়ায় পূর্ব শত্রুতা জেরকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত হামলার খবর পাওয়া গেছে। এতে স্কুল পিয়নসহ চারজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ কলমাকান্দা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন একপক্ষ।

শুক্রবার কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোহেল রানা নামে একজন বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অভিযোগ দায়ের করেছেন। তা তদন্ত করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালের দিকে উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের মৌজে পোগলা গ্রামে বাদীর বসত বাড়ির উঠানে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত চারজন হলেন, ওই গ্রামের আরমোজ আলী (৭২) ও তার দুই ছেলে মোঃ জুয়েল মিয়া (৪২) ও পোগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী সোহেল রানা (৩৯) এবং তার নাতি মোঃ পলাশ মিয়া (৩০)।

অভিযুক্তরা হলেন,একই গ্রামের মোঃ সাগর মিয়া (৩০), মোঃ সাজিদ মিয়া (২৮),মোঃ জান্নাত মিয়া (২৬), মোঃ সাইকুল ইসলাম (৬০), মোঃ রুহুল আমিন (৫০), মোঃ লিংকন মিয়া (২৭), মোঃ সোহেল মিয়াসহ ১০ জন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মৌজে পোগলা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে আরমোজ আলী ও সাইকুল ইসলাম দুই পরিবারের মধ্যে। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে আরমোজ আলীর বসত বাড়ীতে হামলা চালায় সাইকুল ইসলামসহ তার লোকজন। এতে করে আরমোজ আলীসহ তার দুই ছেলে ও তার নাতি চারজন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। আহত চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি দেন জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক।

এ বিষয়ে আরমোজ আলীর ছেলে সোহেল রানা বলেন, অভিযুক্তরা অনৈতিকভাবে সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে কলহ সৃষ্টি করে আসছিল। একপর্যায়ে তারা আমার কাছে চাঁদা দাবি করে। যদি আমি তাদের কথামতো চাঁদা না দেই তাহলে পোগলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী পদে শান্তিতে চাকুরী করতে দিবে না বলে হুমকি দিযে আসছিল। বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে করে আমিসহ চারজন গুরুতর আহত হই। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ কলমাকান্দা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা আত্মগোপনে থাকায় তাদের বক্তব্য জাানা সম্ভব হয়নি।