গোলাম রব্বানী টিটু: শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর হাসপাতালটি উপজেলার একমাত্র চিকিৎসা নেওয়ার আশ্রয়কেন্দ্র হলেও চিকিৎসকের সংকটে সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলাবাসী।

হাসপাতালে ৯জন ডাক্তার থাকার নিয়ম থাকলেও বর্তমানে তিনজন ডাক্তার রয়েছে। সীমিত চিকিৎসকের মাধ্যমে উপজেলাবাসীর চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।

২৪ ঘন্টায় সেবা দিতে হাসপাতালে জরুরী বিভাগ অত্যান্ত ভূমিকা পালন করে সেবা দিয়ে আসছে। সেখানে ফার্মাসিস্টরা রোগি দেখে সেবার মান ধরে রেখেছেন।

বিনামূলে নরমাল ডেলিভারী ও সিজারের ব্যবস্থা এখানে রয়েছে কিন্তু চিকিৎসকের অভাবে জরুরিভাবে সেবা সম্ভব হয় না। আগে থেকেই হাসপাতালে সিজারের জন্যে বলে রাখা হলে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রাজিব সাহা জেলা থেকে ডাক্তারের ব্যবস্থা করে নির্ধারিত সময়ে সিজার করানো হয়। ফলে তৎক্ষনাৎ সেবা গ্রহিতারা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে শেরপুর সদরে দ্বারস্থ হতে হয় রোগীদের।

ফলে একদিকে যেমন রোগীদের বাড়তি টাকা খরচ হচ্ছে অন্যদিকে সদরে প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালে দালালদের খপ্পরে পড়তে হয় অনেক পরিবারের। ডাক্তারের অভাবে রোগীদের রেফার্ড করার ফলে স্থানীয়রা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হাসপাতালে কিছু জনবল ও যন্ত্রপাতির অভাবে অনেক চিকিসা এখানে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রাজীব সাহা বলেন, ডাক্তার সংকট থাকার পরও সঠিক সেবা দেওয়ার জন্যে সর্বক্ষন কাজ করে যাচ্ছি। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে ডাক্তার সংকটের কথা বলেছি ডাক্তার আসলে সেবার মান আরো বৃদ্ধি হবে ।