ফুলবাড়ীয়া প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া পৌর সদরে পুকুর ভরাটের ঘটনায় মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘন্টাব্যাপী উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ৯০ বছর পূর্বে জেলা পরিষদের নামে স্থানীয় ৩ ব্যক্তি জনস্বার্থে পুকুর খনন করার জন্য ৪২ শতাংশ জমি দান করেন যাহার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩৫ কোটি টাকা। দানকৃত দলিলের শর্ত অনুযায়ী স্থানীয় জনগন ও মসজিদের মুসুল্লী এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা নিরবিচ্ছিন্নভাবে ব্যবহার করে আসছিল।

ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের ৪২ শতাংশ জমির পুকুর স্থানীয় প্রভাবশালী হারুন গংরা মাটি ভরাট করে ভবন নির্মানসহ দখলে নিয়ে নেয়।

ফুলবাড়ীয়া পৌর সদরের পুরাতন গরু হাটায় মসজিদ সংলগ্ন সরকারী ৪২ শতাংশের মাটি ভরাটকৃত পুকুর উদ্ধার ও ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবীতে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একটি সার্ভেয়ার টিম জেলা পরিষদের জমির তফসিল উল্লেখ করে এই জমির মালিক ও দখলকার জেলা পরিষদ ময়মনসিংহ একটি সাইনবোড উত্তোলন করে যান।

সম্প্রতি দখলবাজরা পরের দিন জেলা পরিষদের সাইন বোর্ডের তোয়াক্কা না করে মাটি ভরাটকৃত জমিতে টিন সেটের ঘর নিন্মানসহ পানির পাম্প স্থাপন করে বিদুৎসংযোগ নেয়। স্থানীয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।

বিষয়টি জেলা পরিষদের নজরে আসলে ১২ সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লীরা তরফদার ফুলবাড়ীয়া থানা অফিসার ইসচার্জ বরাবর পুকুর ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা নির্মান কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানিয়ে জেলা পরিষদ স্বারক নং-২৪-১১৩৬ মুলে জমির রেজিষ্ট্রিকৃত ১৭৪২ তাং ২৫.০৬.১৯৩৫ দলিল সংযুক্ত করে চিঠি দেন। এতেও কোন প্রতিকার হয়নি।

প্রতিকার না পেয়ে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পৌর সদরের আল জামিয়াতুল আকবরিয়া কাশিমুল উলুম এতিমখানা ও বায়তুল নূর জামে মসজিদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, মসজিদ কমিটির সদস্য ও এলাকাবাসী সরকারী পুকুর ভরাটের প্রতিবাদে উপজেলা পরিষদের সম্মুখে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মসজিদের ইমাম মাওলানা জুবায়ের আহমেদ, মসজিদ কমিটির সহসভাপতি মাসুদ আহমেদ, শিক্ষক মাওলানা হাবিবুন্নবী, সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দিন, আতিকুর রহমান সুজন, আজাহারুল আলম রিপন, আলামিন সাদাত প্রমুখ।