বাকৃবি সংবাদদাতা : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিগত সাড়ে পনের বছরে সংঘঠিত সকল প্রকার দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত করার জন্য গণতদন্ত কমিশন গঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর)

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞতিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বাকৃবির সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিগত সাড়ে পনের বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘঠিত সকল প্রকার দুর্নীতি, জুলুম-নির্যাতন এবং আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের বিষয় তদন্ত করে রিপোর্ট সুপারিশ প্রদানের জন্য গণতদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

ওই কমিশনে চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন বাকৃবির পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া এবং কো-চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন এগ্রোফরেস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. জি. এম মুজিবর রহমান। সদস্য সচিব হিসেবে আছেন কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার এবং উপদেষ্টা হিসেবে আছেন ময়মনসিংহের জজ কোর্টের এডভোকেট মো. খালেদ হোসেন টিপু। এছাড়াও ওই কমিশনে আরো ২৩ জনকে সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

এ বিজ্ঞপ্তিতে কমিশনটির বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলসমূহে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর সংঘটিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, যৌন হয়রানি, ইভটিজিং, গেষ্ট রুম টর্চার, সিট বানিজ্য, চাঁদাবাজি, আর্থিক দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ও সংঘঠিত হত্যাকান্ডের অনুসন্ধানসহ সাতটি কার্যপরিধি নির্ধারণ করা হয়।

এ বিষয়ে গণতদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, সকলের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে কাজ করতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোপূর্বে যত অপকর্ম হয়েছে সকল কিছুর সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে এবং ওই অপকর্মসমূহ যাতে পরবর্তীতে আর সংঘটিত না হয় সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।