শেরপুর সংবাদদাতা : শেরপুরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও প্রাণনাশের হুমকির বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী এক ব্যবসায়ী। ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে শহরের নির্ঝর কমিউনিটি সেন্টারে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শ্রীবরদী উপজেলার ঝগড়ারচর বাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলাম।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার বাড়ি ঝগড়ারচর বাজারের পাশে জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার বাউসমারী গ্রামে। আমার ঝগড়ারচর বাজারে মেসার্স রিফাত এন্টার প্রাইজ ও মেসার্স রিফাত ফার্নিচার গ্যালারি নামে দুটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ৬ আগষ্ট একদল সন্ত্রাসী আমার দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে সমস্ত মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এর ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। এতে আমার প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক বিকেলে দেশীয় ও অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। প্রাণের ভয়ে আমরা দুই ভাই নিরাপদ স্থানে সরে যাই। পরের দিন সকালে দোকানের দালান ভাংচুর করে ইট পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়। এতে আমার সারা জীবনের সঞ্চয় শেষ হয়ে গেছে।

এছাড়াও এসময় তিনি বলেন, পরবর্তীতে বিচার প্রার্থনা করে চলতি মাসে ২১ আগস্ট শেরপুর বিজ্ঞ দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে নালিশী মোকদ্দমা দায়ের করেছি। যার নাম্বার ২২/২৪। পরবর্তীতে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করে সত্যতা পান। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শেরপুরের অস্থায়ী সেনাক্যাম্পেও একটি অভিযোগ দায়ের করি। বর্তমানে ওই সন্ত্রাসীরা আমার সকল মালামালের ক্ষতি মেনে নিয়ে তাদের সহিত শর্ত বিহীন আপোষ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। এমনকি তারা প্রতিনিয়ত আমার ও পরিবারের সকল সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমরা এখন মৃত্যু ঝুকি নিয়ে চলছি।

এ বিষয়ে ওই ব্যবসায়ীর বাবা মো. আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ বলেন, মূল ঘটনাটি একটি সংগঠনের নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে। আমি ওই সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ছিলাম। জাল জালিয়াতি করে শাহজাহান, ইয়ার রহমান সহ বেশ কয়েকজন আমার সভাপতির পদ বিলোপ করেন। পরবর্তীতে তারাই এই লোটপাট করে। আমি এর বিচার চাই।

এ সময় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ও তার বাবা মো. আবদুস সামাদসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।