অনলাইন ডেস্ক : বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় বিয়ের দাবিতে ভাতিজার বাড়িতে দুই দিন ধরে অনশনে বসেছেন চাচি রুমানা আক্তার। ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের কালিশ পুনাইল গ্রামে।

এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) অনশনরত নারীকে মারধর করে নগদ ২০ হাজার টাকা, মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ও প্রমান নষ্ট করে ঘর থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেছে অভিযুক্ত রানা ও তার পরিবার।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে উপজেলার কালিশ পুনাইল গ্রামের রফিকুল ইসলাম ওরফে রানার বাড়িতে অনশন করছেন ওই নারী। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই নারীকে দেখতে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ। রফিকুল ইসলাম রানা (৩২) উপজেলার কালিশ পুনাইল গ্রামের মনসুর হোসেনের ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন

জানা গেছে, উপজেলার কালিশ পুনাইল গ্রামের রফিকুল ইসলাম রানা তার চাচি দুই সন্তানের জননী রুমানা আক্তারের সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। চাচি ও ভাতিজার প্রেমের খবর জানা জানি হলে গত ৪ বছর আগে রুমানা ও তার স্বামীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বিচ্ছেদের ৪ বছর পর দুই সন্তানের জননী রুমানা বিয়ের দাবিতে ভাতিজা রফিকুল ইসলামের বাড়িতে অনশন শুরু করেন। এঘটনায় ভাতিজা রফিকুল ইসলাম বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।

অনশনরত নারী রুমানা আক্তার জানান, গত ৪ বছর ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে বগুড়া শহরে ও নন্দীগ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়।

ভাটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি একজন নারী বিয়ের দাবি নিয়ে অনশন করছে। যদি তাদের মধ্যে সম্পর্ক থাকে বিয়ে করাই উচিত হবে।