সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার পথে চালক ও সহযোগীর বিরুদ্ধে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কুলিয়ারচর থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।
পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত অটোচালকসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই তরুণীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়। বুধবার রাতে তিনি বরিশাল থেকে বিভিন্ন বাহনে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এসে পৌঁছান। সেখান থেকে অটোরিকশায় বাড়িতে ফেরার পথে কুলিয়ারচরে ধর্ষণের শিকার হন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী ছাত্রী বরিশালের একটি কলেজে পড়াশোনা করেন। বরিশাল থেকে কিশোরগঞ্জে বাড়িতে আসার জন্য বুধবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকার বাসে ওঠেন। রাত ৯টার দিকে ঢাকার সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে আসেন। সায়েদাবাদ থেকে বাসে ভৈরবে পৌঁছান রাত ১২টায়। ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জে যাওয়ার বাস না থাকায় তিনি একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। সেটিতে দুই পুরুষ ও এক নারী যাত্রী ছিলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর চালক ফোন দিয়ে তার এক সহযোগীকে গাড়িতে তুলে নেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, দীর্ঘ ভ্রমণের কারণে বাদী ক্লান্ত থাকায় একপর্যায়ে গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। এরমধ্যে গাড়ির অন্য যাত্রীরা নেমে যান। ঘুম থেকে উঠে বাদী দেখেন, গাড়িতে তিনি এবং চালক ও ফোন করে আনা সহযোগী। রাত পৌনে ২টার দিকে কুলিয়ারচরের কলাকুপার চম্পাকান্দা এলাকায় তাকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে একটি বাঁশঝাড়ের কাছে নিয়ে যান। সেখানে দুজন মিলে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে তার কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা কেড়ে নেন তারা। গভীর রাতে তিনি একা হেঁটে যাওয়ার সময় পথে একজনের সঙ্গে দেখা হয়। তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
কুলিয়ারচর থানার ওসি সারোয়ার জাহান জানান, রাতেই ভৈরবের দুর্জয় মোড় থেকে সিএনজিচালক শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ভৈরবের আকবরনগর মিরেরবাগ এলাকার রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। রাত ১টার দিকে আকবরনগর থেকে গ্রেফতার করা হয় তানভীরকে। তার কাছ থেকে মেয়েটির মোবাইল উদ্ধার করা হয়। আকবরনগর ব্যসস্ট্যান্ডে ফ্লেক্সিলোডের দোকান রয়েছে তানভীরের।