মেহেদী হাসান আকন্দ: নেত্রকোণার মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার রাজস্ব আত্মসাৎ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর দাখিল করা লিখিত অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানেন না অভিযোগকারী। গত ৪ সেপ্টম্বর মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জলমহাল থেকে আদায়কৃত রাজস্ব আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন মদন উপজেলার গোবিন্দ্রশ্রী গ্রামেরমৃত সুলতু মিয়ার পুত্র খায়রুল ইসলাম।অভিযোগপত্রে অভিযোগকারীর নামের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার ও মোবাইল নাম্বার থাকার আবশ্যকতা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।
সরেজমিনে মদন উপজেলার গোবিন্দ্রশ্রী গ্রামের অভিযোগকারীর ছোট ভাই কামরুল ইসলামের সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের। কামরুল ইসলাম জানান, তার বড় ভাই খায়রুল ইসলাম পরিবারসহ দীর্ঘদিন ধরে চট্রগ্রামে বসবাস করেন এবং তিনি দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।খায়রুল ইসলাম মোবাইল ফোনে প্রতিবেদককে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবারসহ চট্্রগ্রামে বসবাস করেন। অভিযোগপত্রে স্বাক্ষরের বিষয়ে জানান, তিনি নিরক্ষর মানুষ। দিমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন এবং নামসহি জানেন না বলেই জাতীয় পরিচয়পত্রেও টিপসহি রয়েছে। তার নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে কে বা কাহারা কি উদ্দেশ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছেন তিনি তা জানেন না। এ বিষয়ে তদন্তের মাধ্যমে ভূয়া অভিযোগ দাখিলকারীকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার তিনি দাবী করেন।
মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আলম মিয়া বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবাদে তিনি জানতে পেরেছেন গোবিন্দ্রশ্রী গ্রামের মৃত সুলতু মিয়ার পুত্র খায়রুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে জেলা প্রসাশক মহোদয় বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগের তদন্ত করে বর্ণিত বিষয়ে সত্যতা পেলে কর্তৃপক্ষ অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা যাচাই করে প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার তিনি দাবী জানান।