রিয়াজ রহমান : সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের বনগাঁও এলাকায় গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্পের ৬০টি ঘরের মধ্যে অধিকাংশ ঘর ফাঁকা পড়ে আছে। রসুলগঞ্জ ভূমি অফিস সূত্রে জানাযায় বারবার তাগদা দেওয়ার পর ও বরাদ্দ পাওয়া ব্যাক্তিরা ঘরে উঠছেনা। ২০২৩ সাল বরাদ্দ দেওয়া হলে ও বেশীর ভাগ ঘর এখন ফাঁকা পড়ে আছে ।
সম্প্রতি সরেজমিনে ওই গুচ্ছগ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, এখনও বেশির ভাগ ঘর ফাঁকা পড়ে আছে।
গুচ্ছ গ্রামে ১৬টি পরিবার বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করছে এবং কয়েকটি ঘর তালাবদ্ধ। আবার কয়েকটি ঘরে বহিরাগতদের থাকতে দেখা গেছে।
গুচ্ছগ্রামের এমন হাল হওয়ার কারণ জানিয়েছেন এলাকাবাসী এখানে স্বচ্ছল ব্যক্তির নামেও ঘর বরাদ্দ হয়েছে। তারা এসব ঘরে ওঠেননি। তাই অনেক ঘরই এখনও ফাঁকা।
এদিকে একইরকম অভিযোগ ৩ সন্তান নিয়ে গুচ্ছগ্রামের একটি ঘরে থাকা হেপি বেগম জানান, স্থানীয় লোকজন যাদের ঘর বাড়ি আছে, বিদেশে থাকে এমন টাকা-পয়সাওয়ালা লোকদের নামেও ঘর বরাদ্দ রয়েছে এই গুচ্ছ গ্রামে। তদন্ত করলে সত্যতা পাওয়া যাবে।
আমার কোন বাড়ি ঘর নাই আমি অসহায় মহিলা গুচ্ছ গ্রামে সরকার ঘর নির্মান করার পর থেকে আমি বিভিন্ন ঘরে ৩ শিশু সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছি। আমার নামে বনগাঁও গুচ্ছ গ্রামে একটি ঘর বরাদ্দ দেওয়া জন্য সরকারের নিকট আকুল আবেদন জানাই। সরজমিনে গেলে দেখা যায় গুচ্ছ গ্রামের অনেক ঘরের দরজা জানালা ভাঙ্গা। নেই বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা। গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দারা জানান, বিদ্যুৎ ও পানির অভাবে আমরা অনেক কষ্টে আছি। বিদুৎ না থাকায় গুচ্ছ গ্রামে থাকা শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার মারাত্মক সামস্যা হচ্ছে।
এসব বিষয়ে জানতে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল বশিরুল ইসলাম এর সরকারী মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।