নিজস্ব সংবাদদাতা : নেত্রকোনায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দয়াল খান (২০) নামের এক যুবককে কুপিয়েছে একদল কিশোর।

এ ঘটনায় স্থানীয়রা ৪ কিশোরকে আটক করে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়।

এসময় তাদের কাছ থেকে একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি ছুরি ও একটি পাইপ লাগানো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের আদালতে পাঠায় পুলিশ।

এরআগে বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা শহরের পূর্ব মালনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার রাতে নেত্রকোনা মডেল থানায় হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী।

এদিকে স্থানীয়রা দয়ালকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আহত দয়াল খান নেত্রকোনা পৌরসভার পূর্ব মালনী এলাকার বাসিন্দা মিজাজ উদ্দিন খানের ছেলে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে আহত দয়ালের পিতা মিজাজ উদ্দিন খান বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫/২০ জন অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।

আটককৃতরা হলো, নেত্রকোনা পৌরশহরের ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা মোঃ শরীফ (কসাই) এর ছেলে জাহিদুল ইসলাম ফাহিম (১৬), শহরের বারহাট্টা রোডের বাসিন্দা মোজাম্মেল হকের ছেলে হাসিন মাহতাব দিগন্ত (১৭), কুরপাড় এলাকার বাসিন্দা মো. মিন্টু মিয়ার ছেলে মুনতাসির আহমেদ সিয়াম (১৭), সদর উপজেলার আমতলা ইউনিয়নের দেওপুর গ্রামের মো. রুজেল মিয়ার ছেলে আহনাফ মোহাম্মদ প্রিনন (১৬)।

স্থানীয় ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি নেত্রকোনা শহরের পূর্ব মালনী এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিলে দয়াল খানের সাথে কয়েকজন কিশোরের কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে বুধবার সন্ধয়ায় ৩৫-৪০ জন কিশোর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পূর্ব মালনী এলাকায় গিয়ে হামলা চালায় দয়ালের উপর। দয়ালকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী দেশীয় অস্ত্রসহ হামলাকারী কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্যকে আটক করে। পরে সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হলে তারা দেশীয় অস্ত্রসহ ৪ জনকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতেই নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী।

নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন,আটককৃত চারজনকে বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।