মোহনগঞ্জ প্রতিনিধি : নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে অবৈধভাবে সিগারেট মজুদ করে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করার গোপন খবরে ডিলারের গুদামে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন।
এসময় প্রতি প্যাকেট সিগারেট নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৪০-৫০ টাকা বেশি বিক্রি করায় সংশ্লিষ্ট তিন জনকে জেল -জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি গুদামটি সিলগালা করা হয়।
বৃহস্পতিবার ( ২৩ জানুয়ারি ) বিকাল ৪টার দিকে পৌর শহরের মার্কাজ রোডের একটি বাড়িতে থাকা মেসার্স শশী মোহন রায়ের সিগারেটের গুদামে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এতে কমদামে সিগারেট কিনে অবৈধভাবে গুদামে মজুদ করে চড়ামূল্যে বিক্রির প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার খালেদ সাইফুল্লাহকে (২৫) ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সুপার ভাইজার খন্দকার দেলোয়ারকে (২৫) পাঁচ দিনের কারাদণ্ডের পাশাপাশি নগদ দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সময়ে বিক্রয় প্রতিনিধি আতাউর রহমান নুরনবীকে (৩৪) ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম এ কাদের অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় থানা পুলিশ কয়েকজ সদস্য ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কালীন সময়ে উপস্থিত ছিলেন ।
স্থনীয় সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনার ব্যবসায়ী শশী মোহন রায় মোহনগঞ্জের একটি ভাড়া বসায় বেনসন, স্টার, পাইলটসহ বিভিন্ন সিগারেটের ডিলারশিট ব্যবসা রয়েছে। এখান থেকে আশপাশের কয়েক উপজেলায় প্রতিদিন অর্ধকোটি টাকার সিগারেট পাইকারি দরে বিক্রি করা হয়। ওই গুদামে আগের দামে কেনা সিগারেট অবৈধভাবে মজুদ করে। সম্প্রতি ডিলারের লোকজন প্রতি প্যাকেট সিগারেট গায়ে লেখা মূল্যের চেয়ে ৪০-৫০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করছিল। জনগণ এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে প্রমাণসহ অভিযোগ জানায়। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে শশী মোহন রায়ের ওই গুদামে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম এ কাদের অভিযান পরিচালনা করেন। ঘটনার সত্যতা পেয়ে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জড়িতদের জেল-জরিমানা করেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম এ কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, জনগণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ও গোপন সূত্রের ভিত্তিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় ওই ডিলারের গুদামে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে বিভিন্ন প্রকার সিগারেট গায়ের রেটের চেয়ে মাত্রাতিরিক্ত দামে বিভিন্ন দোকানে বিক্রয় করার অপরাধ হাতেনাতে ধরা হয়।
তিনি আরও বলেন, কম দামে সিগারেট গুদামজাত করে পরবর্তীতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অধিক মূল্যে বিক্রি করার সকল তথ্যপ্রমাণ এসময় আদালতের সামনে একের পর এক উন্মোচিত হতে থাকে। উক্ত অপরাধে ৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তাদের দুইজনকে অর্থদণ্ড ও অপর একজনকে অর্থদণ্ডসহ ৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা। জনস্বার্থে এ অভিযান চলমান থাকবে।