বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ দীর্ঘ ছয় দশকের বেশি সময় কৃষি অনুষদের অধীনে থাকলেও অবশেষে এটি কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদে স্থানান্তরিত হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল হাসান ভূঞা।

তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী পদার্থ বিজ্ঞান সাধারণত প্রকৌশল অনুষদের অন্তর্ভুক্ত হলেও ১৯৬৪ সালে বাকৃবি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি কৃষি অনুষদের অধীনে ছিল। ২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে এটি প্রকৌশল অনুষদের অন্তর্ভুক্ত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, একসময় কৃষি অনুষদ থেকে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের কোর্স পরিচালিত হতো কিন্তু ১৯৬৯ সালে অর্ডিন্যান্স পরিবর্তনের পর উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হলে বিভাগটির গুরুত্ব কমে যায়। তবুও কৃষি প্রকৌশল অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য বিভাগটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং তাদের জন্য এর কোর্সসমূহ বাধ্যতামূলক ছিল।

২০০২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো পুনর্বিন্যাসের জন্য গঠিত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগকে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদে স্থানান্তরের সুপারিশ করেছিল। ওই কমিটি ৫টি সুপারিশ করে এবং এর মধ্যে ৩ নং সুপারিশটি ছিলো পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগকে কৃষি অনুষদের আওতামুক্ত করে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদে স্থানান্তরিত করার বিষয়ে। তবে বাকি ৪টি সুপারিশ বাস্তবায়িত হলেও ৩নং সুপারিশটি আলোর মুখ দেখে নি।

২০২৪ সালের মার্চে কৃষি অনুষদের ১৮০তম সভায় পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগকে অবমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর কৃষি প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদীন বিভাগটিকে গ্রহণের জন্য আবেদন করেন। শিক্ষা পরিষদের একাধিক সভার পর ২১০তম সভায় সিদ্ধান্তটি অনুমোদিত হলে উপাচার্যের আদেশক্রমে এটি কার্যকর হয়।

অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল হাসান ভূঞা ২০১০ থেকে ২০১৭ এবং ২০১৯ থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

৫ম শিল্প বিপ্লবে কৃষি খাতে পদার্থ বিজ্ঞানের ভূমিকা প্রসঙ্গে অধ্যাপক খায়রুল বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স, বিগ ডেটা ও আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে কৃষি খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে। পদার্থ বিজ্ঞানের উন্নত প্রয়োগ কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, খামার ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন এবং প্রাকৃতিক সম্পদের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।