গৌরীপুর প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের গৌরীপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রবি আজিয়াটা মোবাইল সিম বয়কটের ডাক দিয়েছেন গত বছর ১৮ অক্টোবর চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ফাল্গুনকরা রবি টাওয়ারে ডিউটিরত অবস্থায় নিহত আবুল হাসিমের সন্তানরা।

তিনি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কাউরাট চকবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সেখানে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সিকিউরিটি কোম্পানি আইএসএস লিমিটেড কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে রবি টাওয়ারে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

গৌরীপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে রবিবার বিকালে নিহত আবুল হাশিমের ছেলে মনোয়ার হাসিব মামুন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন- তার বাবা আবুল হাশিম ২০০৩ সাল থেকে সিকিউরিটি কোম্পানি আইএসএস লিমিটেডের মাধ্যমে চৌদ্দগ্রাম ফাল্গুনকরা রবি আজিয়াটা টাওয়ারে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনারদিন রাতে তিনি সেখানে একাই দায়িত্ব পালন করছিলেন।

তিনি অভিযোগ করে, রবি টাওয়ারের বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত সদস্যরাই মূল্যবান মালামাল চুরি করতে আসে, এবং তাদের চিনে ফেলায় আমার বাবা আবুল হাশিমকে নির্মমভাব হত্যা করে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে- হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে রবি ও আইএসএস কোম্পানি খুনিদের পক্ষ নেয়। এমনকি নিহত আবুল হাশিমের পরিবারকে কোন সমবেদনা জানায়নি ও যোগাযোগ করেনি বরং বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন তাঁরা। মনোয়ার হাসিব মামুন নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শংকায় আছেন বলে জানান।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতের দুই মেয়ে আলিফা সুলতানা হ্যাপি, লতিফা সুলতানা শিপুসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরও জানান, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের অসহযোগিতার কারণে প্রকৃত খুনিদের আসামিও করা যায়নি। সম্প্রতি কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে সন্দেহভাজন ফাল্গুনকরা টাওয়ারের ইনচার্জ নুরুল্লাহ, সাবেক ইনচার্জ আনিস, জেনারেটার অপারেটর সুমন, আইএসএস লিমিটেড কোম্পানির সুপারভাইজার আনোয়ার ও ফাল্গুনকরা রবি টাওয়ারের অপর সিকিউরিটি গার্ড সফিউরকে সম্পূরক আসামি করা হলেও অদ্যবদি পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি।

এব্যাপারে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন আহমেদ এ থানায় সদ্য যোগদানের বিষয়টি জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন- মামলাটি ক্লুলেস থাকার কারণে খুনিদের গ্রেফতার করা যায়নি, তবে পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে পিটিশনকৃত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।