নিজস্ব প্রতিনিধি : ময়মনসিংহে আটক মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যলভেশন আর্মির (আরসা) চার সদস্যের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

র‌্যাব-১১-এর সুবেদার হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দুটি করেন। মামলায় ৩০ লাখ টাকা এবং ১২ ভরি স্বর্ণালংকার জব্দ দেখানো হয়। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন আসমত উল্লাহ (২৪), মো. হাসান (৪৩), মোছা. শাহিনা (২২) ও সোনেয়ারা (১৭)।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান গনমাধ্যমকে বলেন, ‘বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে তাঁরা (আরসার সদস্যরা) সংঘবদ্ধ হয়ে পরিকল্পনা করছিলেন। আসামিদের নারায়ণগঞ্জে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের ময়মনসিংহ এনে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।’

এর আগে গত রোববার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর নতুন বাজার মোড়ের গার্ডেন সিটি ভবনের ১০ তলার ‘এ’ ব্লকে অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখান থেকে আটক ব্যক্তিদের মধ্েয দুজন পুরুষ ও দুজন নারী ছাড়া দুটি শিশুসন্তানও ছিল।

এদিকে ময়মনসিংহে আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আরসার প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনী ও তাঁর ৫ সহযোগীকে আটক করা হয়। তাঁদের গ মঙ্গলবার ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনী (৪৮), মোস্তাক আহমেদ (৬৬), সলিমুল্লাহ (২৭), মো. আসমতউল্লাহ (২৪), হাসান (৪৩) ও মনিরুজ্জামান (২৪)। এঁদের মধ্যে মনিরুজ্জামান সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লি আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। আতাউল্লাহ ছাড়া অন্যরা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করতেন।