ভালুকা প্রতিনিধি : ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় ভালুকা উপজেলার মাস্টারবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতা মিলে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রাজমিস্ত্রী তোফাজ্জল হোসেনকে হত্যা করে ছিল।

এ ঘটনার ৭মাস পরে মোঃ শরিফ মিয়া বাদী হয়ে ২১ মার্চ (শুক্রবার) ভালুকা মডেল থানায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামী করে ও ওবায়দুল কাদের ২৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫০জনসহ ৩৯৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

জানাযায়, প্রত্যক্ষদর্শী নিহত তোফাজ্জলের বন্ধু মামুন ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতা আনন্দোলনের অংশ হিসেবে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সিমান্তবর্তী জৈনা বাজার থেকে একটি মিছিল ভালুকা উপজেলার মাস্টারবাড়ি এলাকায় আসে । এ সময় ক্ষমতাসীন আ’লীগের লোকজন মিছিলটি প্রতিহত করার লক্ষ্যে লাঠিশোঠা নিয়ে ওই মিছিলের উপর হামলা চালায়। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

এসময় রাজমিস্ত্রি তোফাজ্জল হোসেনকে মিছিল থেকে ধরে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে।পরে স্থানীয়রা আহত তোফাজ্জলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মাস্টারবাড়ি এলাকায় অবস্থিত পপুলার ক্লিনিকে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে ডাক্তার তাকে চিকিৎসা না দিলে পরবর্তিতে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তোফাজ্জলকে মৃত ঘোষণা করেন।পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশটি শ্রীপুর থানার এসআই ওয়াহিদুজ্জামানের কাছে হস্তান্তর করেন। ৫ আগস্ট পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশটি হস্থান্তর করা হলে ৬আগস্ট সকাল সাড়ে নয়টায় তোফাজ্জলের গ্রামের বাড়ি পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শামছুল হুদা খান জানান, তোফাজ্জল হত্যার ঘটনায় ২৪৫জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫০জন অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে ও মোঃ শরিফ মিয়া নামে এক ব্যক্তি হত্যা মামলা করেন।