গৌরীপুর প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের গৌরীপুর সাব-রেজিট্রি কার্যালয়ে রীতিমতো ঢাক-ঢোল পিটিয়ে তদন্তে আসলেন বাংলাদেশ দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। কিন্তু তাঁরা এসে জানতে পারলেন যার বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ তিনি বদলি হয়ে চলে গেছেন অনেক আগেই, সেখানে কাজ করছেন অন্য একজন, তাই আর তদন্ত করা হলো না ময়মনসিংহ জেলা দূর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক রাজু মোঃ সারোয়ারের নেতৃত্বে আসা দুদক দলের।
জানা গেছে, ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা সাবরেজিস্টার কার্যালয়ের সাবেক অফিস সহকারী স্বপ্না বসাকের বিরুদ্ধে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে একটি মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন স্বপ্না বসাক আওয়ামী লীগের দোসর, বিগত সময়ে তাঁর মাধ্যমে অনেক অনিয়ম-দূর্নীতি সংগঠিত হয়েছে সাবরেজিস্টার কার্যালয়ে।
এছাড়াও স্বপ্না বসাক সাবরেজিস্টার কার্যালয়ে কর্মরত দলিল লেখক, কর্মচারী ও সেবা গ্রহীতাদের সাথে অসাদ আচরণ এবং বিভিন্ন অযুহাতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করতেন, তাই তাঁর বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত ও বদলির দাবি জানিয়েছিলেন তখন আন্দোলনকারীরা।
গৌরীপুর দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম হাচি বেশ শাহীদ মুন্সী জানান, স্বপ্না বসাকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্নীতির অনেক অভিযোগ ছিলো, নানা অযুহাতে সবার কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন, তাঁর বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত ও বদলির দাবি জানিয়ে আমরা আন্দোলন করেছিলাম।
ময়মনসিংহ দূর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোঃ রেজওয়ান আহমেদ জানান, স্বপ্না বসাকের বিরুদ্ধে দূর্নীতির তদন্তে গিয়েছিলাম আমরা, কিন্তু তিনি আগেই গৌরীপুর থেকে বদলি হয়ে গেছেন, তার ব্যাপারে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া সাব-রেজিট্রি অফিসের বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্নীতির বিষয়ে জনশ্রুতি থাকলেও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় কোন তদন্ত করা যায়নি, তবে অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দূর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছি আমরা।
গৌরীপুর উপজেলা সাবরেজিস্টার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি গৌরীপুরে যোগদানের ১৫ দিনের মধ্যেই স্বপ্না বসাক বদলি হয়ে গেছেন, তাই দুদকের তদন্ত দলকে এ বিষয়ে তেমন কোন তথ্য দিতে পারিনি। এছাড়া কয়েকটি বিষয়ে দুদক আপত্তি জানিয়েছেন, এসব বিষয়ে জেলা রেজিস্টারের কাছে লিখবেন তিনি।