জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদ সেলিমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রনের অভিযোগ। চেয়ারম্যানকে বেকায়দায় ফেলতে সাবেক চেয়ারম্যান ও তিতপল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুর রহমান বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চেয়ারম্যান হারুন -অর রশিদ দাবি করেন।
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান বলেন, সম্প্রতি সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান তার ফেসবুকে বর্তমান চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদকে নিয়ে মিথ্যা স্ট্যাটাস ও বিভিন্ন জায়গায় ভুয়া অভিযোগ দেন। এতে অংশ নেন পরিষদের সকল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন বর্তমান চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ সেলিম। তিনি বলেন, নির্বাচনে আমার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ছিলেন ওই আজিজুর রহমান। তিনি (আজিজুর রহমান) বিপুল ভোটে আমার কাছে পরাজীত হন। এরপর থেকে তার মাথা খারাপ হয়ে যায়। বিভিন্ন সময় আবুল-তাবুল করতে থাকেন। নানাভাবে এই ইউনিয়নের উন্নয়ন কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে আসছেন। আমি মিথ্যাচার, অপরাজনীতি, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আসতেছি।
তিনি আরো বলেন, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির সঙ্গে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রির জন্যে সরকার ডিলার নিয়োগ করেছেন। ডিলার চাল খাদ্যগুদাম থেকে আনবে, তিনি সেগুলো ১০ টাকা কেজিতে বিক্রি করবেন। এখানে চেয়ারম্যানের কোন সম্পৃক্ততা নেই। চেয়ারম্যান শুধু এই চাল বিক্রির একটি দরিদ্র মানুষের তালিকা তৈরি করেন। তালিকা তৈরির বাহিরে আর কোন কাজ নাই। তাহলে আমি কিভাবে, চাল চুরি করে বিক্রি করবো। বিক্রি করলে, ডিলার করতে পারেন। কিন্তু আমার কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়ে আজিজুর রহমান মিথ্যাচার শুরু করেন। তার ফেসবুকে লেখেন আমি নাকি গত চার বছরে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩৪ লাখ টাকার চাল চুরি করে বিক্রি করেছি। যেখানে আমার কোন সম্পৃক্ততা নাই। সেখানে চাল চুরির প্রশ্নই উঠে না। তার এসব অভিযোগ ও স্ট্যাটাস মিথ্যা-অপপ্রচার মাত্র। আজিজুর রহমান বিভিন্ন সময় উন্নয়ন কাজের জন্যে চাঁদা দাবি করেন। ওই চাঁদা না দেওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের ভবনে তার নেতৃত্বে হামলা ও ভাংচোর করা হয়। ওই মামলায় তিনি পাঁচ দিন জেলও খেটেছেন। তার ওইসব অভিযোগে কোন ভিত্তি নাই। আমাকে সমাজের মধ্যে হেও করার জন্যেই ওইসব অপপ্রচার চালিয়েছেন তিনি। তিনি (আজিজুর রহমান) নিজেই একজন দুর্নীতি গ্রস্থ লোক, নারী লোভী এবং মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করাই যার কাজ।