ভালুকা প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকায় আরিফ স্পিনিং মিলের কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম(৪৫)এর লাশ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৮অক্টোবর) সন্ধ্যায়। নিহত রবিউল নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার মেগশিমুল গ্রামের মৃত রইজ উদ্দিনের ছেলে। নিহত পরিবারের দাবি রবিউলকে হত্যা করা হয়েছে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানাযায়, রবিউল ইসলাম ২০০৪ সাল থেকে এনআর গ্রুপের আরিফ স্পিনিং মিলে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ২০২৩ সালে তাকে কোম্পানি থেকে বের করে দেয়া হয়।পরে ২০২৪ সালে কোম্পানির মালিক নিজে পূনঃরায় কোম্পানিতে যোগদান করান। মাঝখানে এক বছর চাকরি না থাকায় তিনি কারখানার সামনেই একটি মনোহারি একটি দোকান করেন। ওই সময় ব্যবসায় করতে গিয়ে তাঁর অনেক দেনা হয়ে যায়। পাওনাদাররা টাকার জন্য সম্প্রতি তাঁর উপর ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করেন। দেনার টাকার চাপে তিনি মানসিক অস্বস্তিতে ভোগছিলেন। ঘটনার দিন দুপুরে তিনি বাসা থেকে মধ্যাহ্ন ভোজ করে অফিসে আসেন। সন্ধ্যার দিকে অফিসের একটি বাথরুম দীর্ঘক্ষণ ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় উপস্থিত অন্যান্যদের সন্দেহ হয়। পরে বাথরুমের দরজা ভেঙ্গে দেখেন রবিউল হাই কমটের পাশে কাত হয়ে পড়ে আছেন। এ সময় তাঁকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরিফ স্পিনিং মিলের ডেপুটি ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম জানান, অনেক সময় রবিউলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, পরে এক শ্রমিক বললো দীর্ঘসময় টয়লেটের দরজা বন্ধ। পরে আমরা সবাই মিলে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে দেখি অজ্ঞান অবস্থায় রবিউল পড়ে রয়েছেন।পরে ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

নিহতের ভায়রা ভাই মোফাজ্জল হোসেন বলেন, রবিউলের গলায় আঘাতের চিহ্ন থাকায় সন্দেহ হচ্ছে তাকে যে কেউ শ^াসরুদ্ধ করে হত্যা করাছেন।

ভালুকা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবীর জানান, রবিউল ইসলাম ব্যবসায় করে অনেক দেনা করে ফেলেন। সেই দেনাদার ও পরিবারের চাহিদা পুরণে ব্যর্থ হয়ে অত্মহত্যা করতে পারেন। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।