মুক্তাগাছা প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের নরিয়া উপজেলার মেয়ে নাসরিন আক্তার জান্নাত স্বামীর বাড়ি মুক্তাগাছায় ফেরার পর স্বর্ণের লোভ ও পারিবারিক বিরোধের কারণে মারধরের শিকার হয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেছেন, মালয়েশিয়া প্রবাসী স্বামী জাহাঙ্গীর আলী তাকে গর্ভবতী অবস্থায় অস্বীকার করেছেন।
জান্নাত ২০২৩ সালের জুলাই মাসে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। সেখানে পরিচয় হয় ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার বিরাশী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলীর সঙ্গে। ২০২৪ সালের ২৪ আগস্ট স্থানীয় একটি মসজিদে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
স্বামী জাহাঙ্গীর জান্নাতকে দেশে ফেরার সময় ১০০ গ্রাম স্বর্ণ দেন। ১৫ আগস্ট জান্নাত তারাটি ইউনিয়নে পৌঁছান। কিন্তু দেশে আসার কিছুদিন পর স্বর্ণকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিরোধ চরমে ওঠে। এরই মধ্যে ননদ তাসলিমার সঙ্গে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে জান্নাতকে মারধর করা হয় এবং বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী জান্নাত অভিযোগ করেন, স্বামী স্বর্ণের লোভে আমার গর্ভের সন্তানকেও অস্বীকার করছে। ননদ আমার পেটে লাথি মেরে আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। স্বর্ণ তার বাবার কাছেই আছে।
ঘটনার পর জান্নাত মুক্তাগাছা থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাকে পুনরায় স্বামীর বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিপন চন্দ্র গোপ বলেন, স্বর্ণের বিষয়ে কয়েকজন লোক সহায়তা চাইতে এসেছিলেন। মেয়েটা আগে থেকেই পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে থানায় এসেছিল। এই বিষয়ে পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।









