তপু সরকার হারুন : শেরপুর জেলায় বসবাসরত ভেটেরিনারিয়ান এবং ভেটেরিনারি বিষয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত ছাত্রদের নিয়ে গঠিত একটি পেশাজীবি সংগঠন হিসেবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।

সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক মহামারীতে সারাবিশ্বের মত বাংলাদেশও কর্মহীন এবং নিম্ন আয়ের মানুষরা অসহায় হয়ে পরেছেন।

এই সময়ে সমাজিক এবং মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে শেরপুর ভেটস ক্লাব জেলার ৫টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ১০০ টি অসহায় পরিবারের জন্য তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ভেটেরিনারি পেশাজীবীদের এই প্রতিষ্ঠানটি তাদের সদস্যদের ব্যাক্তিগত সাহায্যের অর্থের মাধ্যমে ।

গত ২২ মে জুমাতুল বিদআর দিনে ৬০ টি পরিবারে মধ্যে পরিবার প্রতি ২ কেজি পোলাও চাল, ২ প্যাকেট লাচ্ছা সেমাই, ১ লিটার দুধ, ১ কেজি চিনি, ১/২ লিটার তৈল এবং ১ টি করে সাবান প্রদানের মাধ্যমে সহায়তা করে এবং এর আগে গত ২রা এপ্রিল মহামারীর শুরুর দিকে ৪০ টি পরিবারে মধ্যে পরিবার প্রতি ৬ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি পেয়াজ, ১/২ লিটার তৈল এবং ৬ টি করে ডিম বিতরণ করেছে।

তাদের এই সহায়তা বিতরণ কার্যক্রমটি সম্পূর্ণরুপে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাবটির বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ছাত্র সদস্যদের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছে।

এই বিষয়ে ক্লাবের সভাপতি ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ডা. রেজুয়ানুল হক ভুইয়া আমাদেরকে জানান যে, সামাজিক দায়বদ্ধতা আমাদেরকে এই কাজে অনুপ্রাণিত করেছে।

এসময় তিনি সদস্যদের স্বতস্ফুর্ত সহযোগীতার জন্য ক্লাবটির সদস্য এবং স্বেচ্চাসেবী ছাত্রসদস্যদেরেক আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। পরবর্তিতে ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, হোসেনপুর, কিশোরগঞ্জ ডা. মোঃ আব্দুল মান্নান আমাদের কে জানান যে, শেরপুর ভেটস ক্লাব জেলায় বসবাসরত ১১২ জন সরকারী, বেসরকারী চাকুরিজীবী ও ছাত্রদের একটি সংগঠন।

করোনা পরিস্থিতির কারনে অসহায় মানুষদের পাশে দাড়ানো আমাদের কর্তব্য বলে মনেকরি। চাহিদার তুলনায় আমাদের এই অবদান খুবই অপ্রতুল, তবে অন্যান্য সংগঠন এবং ধনাঢ্য ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি আমাদের কার্যক্রমে অনুপ্রাণিত হয়ে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়ায় তবেই আমাদের এই কর্মসূচী প্রকৃত সফলতা পাবে।