প্রতি বছর ১৫ আগস্ট আসে বাঙালির হৃদয়ে শোক আর কষ্টের দীর্ঘশ্বাস হয়ে। পুরো জাতি গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় শ্রেষ্ঠ সন্তানকে স্মরণ করে।

১৯৭৫ সালের এদিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল সেনাবাহিনীর কিছু উচ্ছৃঙ্খল ও বিপথগামী সদস্য।

সেই থেকে দিনটি মানবসভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের কালিমালিপ্ত শোকের দিন। ১৫ আগস্ট আমাদের জাতীয় শোক দিবস।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক। বাংলার ইতিহাসের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা। বাঙালি জাতির পিতা।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে।

আজকের বাংলাদেশ যে উন্নয়নের ধারায় পরিচালিত হচ্ছে তা শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর হাতেই ।

শনিবার ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে ডিজিটাল মাধ্যমে সারাদেশের তরুণদের অংশগ্রহনে সিরাক-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর একটি পাঠ চক্রের আয়োজন করে।

উক্ত পাঠচক্রে দেশের ৮ টি বিভাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি তুলারাম কলেজ-নারায়ণগঞ্জ, আলমগীর মনসুর (মিন্টু) মেমোরিয়াল কলেজ-ময়মনসিংহ, আনন্দমোহন কলেজ-ময়মনসিংহ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,এম সি কলেজ- সিলেট, সরকারী বি

এম কলেজ -বরিশাল, শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ -বরিশাল, বরিশাল বিশ্ববিদ্যাল, সরকারি মহিলা কলেজ -বরিশাল, বরমচাল মিশন -মৌলভীবাজার, সিলেট, সরকারি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ- ঢাকা, সিদ্ধেশ্বরী মহিলা কলেজ- ঢাকা, রাজশাহী কলেজ, নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি

কলেজ-রাজশাহী, সরকারী মহিলা কলেজ-রাজশাহী, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ, প্রাইম ম্যাটস

কলেজ-রংপুর, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়-রংপুর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থী তরুণরা অংশগ্রহণ করেন।

যেখানে তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত দুটি বই অসমাপ্ত আত্মজীবন ও কারাগারের রোজনামচ বইসমূহের উপর আলোপাত করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিরাক-বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক এস এম সৈকত এবং সঞ্চালনা করেন সিরাক-বাংলাদেশ এর অ্যাসোসিয়েট প্রোগ্রাম অফিসার নুসরাত শারমিন রেশমা।

media image
ছবি

সরকারি তুলারাম কলেজ-নারায়ণগঞ্জ এর শিক্ষার্থী মো: নাজমুল হাসান তার বক্তব্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর কারাগারের দিনগুলো ফুটিয়ে তোলেন।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহাতাব হোসেন বলেন,“বঙ্গবন্ধু একটি সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করে আমাদের শিখিয়ে গিয়েছেন কিভাবে অসাধারণ হতে হয়”।

নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজ, রাজশাহী এর শিক্ষার্থী মো: মাহমুদুল হাসান শিশির বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ একজন ভালো বক্তা হয়ে উঠার জন্য তরুণদের জন্য একটি দিক নির্দেশনা”।

রাজশাহীর একটি অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক নাদিম সিনা ইতিহাসের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন বিশ্লেষণ করেন।

রংপুর এর প্রাইম ম্যাটস কলেজ এর শিক্ষার্থী তরুণ সবুজ রয় বলেন, “বঙ্গবন্ধু কোনো একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নন, তিনি সমগ্র জাতির জন্য আদর্শ”।

শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,বরিশাল এর শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “অনেকগুলো বছর কারাবাস করার পরও বঙ্গবন্ধু স্বাধীণতার পথে পিছপা হননি। এটি এখনকার সময় তরুণদের অনুপ্রাণিত করে”।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এর একজন শিক্ষার্থী মনিরা আক্তার তার বক্তব্যে হাওড়া দাঙ্গার সময় বঙ্গবন্ধুর অবিচল অবস্থান তুলে ধরেন।

শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট এর দুইজন শিক্ষার্থী আনিকা ইয়াসমিন এবং আফিয়া বঙ্গবন্ধু রচিত বই দুটির আলোকে বঙ্গবন্ধুর নির্ভীকতা এবং মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা বিষয়টি আলোকপাত করেন।

সিরাক-বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক এস এম সৈকত তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ উলে­খ করে বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কেবল গর্ব করার পাশাপাশি তিনি যে দুরদর্শী চিন্তা করছিলেন তা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং এর দায়িত্ব তরুণদের”।

পাঠচক্রের শেষাংশে সেরা আলোচনাকারীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠানটিতে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সিরাক-বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর শাহীনা ইয়াসমিন এবং প্রোগ্রাম অফিসার তাসনিয়া আহমেদ।(প্রস বিজ্ঞপ্তি)