ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ কৃষি ব্যাংকে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে দালালের মাধ্যমে কৃষককে দেওয়া ঋণের টাকা পায়নি গ্রহকরা। ব্যাংক থেকে ঋণ আদায়ের নোটিশ পাওয়ার পর কৃষকরা হতাশ। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা মাউজবাগ শাখা থেকে রাজিবপুর ইউনিয়নের বৃ-দেবস্তান গ্রামের মৃত জহুর উদ্দিনের ছেলে ব্যাংকের দালাল তাহের উদ্দিন (৫১) মর্টগেজের ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে একই গ্রামের মৃত রাধাচরণ দাসের ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী কৃষ্ণাচরণ দাসের নামে ২০ হাজার টাকা ঋণ করিয়ে গ্রহীতাকে ৫হাজার টাকা দেয়, তার পার্শ্ববর্তী ঊমাচরণ দাসকে ২০হাজার টাকা ঋণ করিয়ে ৩হাজার টাকা দেয়, সঞ্জিত দাসের নামে ২০হাজার টাকা ঋণ করিয়ে ৫হাজার টাকা দেয়। একই ভাবে প্রবীর, শহিদ মিয়া, জগু মুন্সির নামে ঋণ করিয়ে তাদেরকে ২ থেকে ৫ হাজার করে টাকা দিয়ে বাদবাকি টাকা দালাল ও ব্যাংক কর্মকর্তা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়ে যায়। ঋণগ্রহীতা ঊমাচরণ দাসের স্ত্রী মায়ারানী দাস জানান, এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি তাহের উদ্দিন তার স্বামীর নামে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ করিয়ে তার স্বামীকে ২ হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করে দেয়।
কৃষ্ণাচরণ দাসের স্ত্রী মমতারানী জানান, তার স্বামী মানসিক প্রতিবন্ধী, তারা অন্যের জমিতে বাড়িঘর তৈরি করে বসবাস করেন। তার স্বামীর নামে ঋণ করিয়ে তাহের উদ্দিন ও মতিন ৫ হাজার টাকা দিয়ে বাদবাকি টাকা নিয়ে নেয়। বতর্মানে তার স্বামীর নামে ব্যাংক থেকে ঋণ আদায়ের নোটিশ আসার পর তারা বিষয়টি অবগত হয়। বিষয়টি নিয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ব্যাংক দালাল তাহের উদ্দিনের বাড়িতে গেলে নিজের পরিচয় গোপন করে বাড়ি থেকে সরে যায়।
এ ব্যাপারে কৃষি ব্যাংক মাইজবাগ শাখার ঋণ কর্মকর্তা শামিম আনোয়ার বলেন, ঋণগুলো আগের আই.ও. দিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন, একজন কৃষককে কাগজপত্র ছাড়া বিভিন্ন প্রকারে লোন দেওয়া যেতে পারে। তাদের ঋণের কোনো তথ্য দিতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মাইজবাগ শাখার ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, কাগজপত্র ছাড়া কোনো লোন হয় না। পূর্বে হয়তো দেওয়া হতে পারে, আমার সময়কালে এমনটি হয়নি। তবে আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।