মো: তারিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : সুষ্ঠু পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকার কারণে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ও মহল্লার অধিবাসীরা। এ সমস্যা শুধু প্রত্যেক গ্রামই নই, দামুড়হুদা উপজেলা, আলমডাঙ্গা উপজেলা, চুয়াডাঙ্গা উপজেলা ,জীবননগর পৌর শহরসহ উপজেলার অধিকাংশ গ্রামবাসীদের। কিন্তু সমস্যা সমাধানে কার্যকর তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট কোন কর্তৃপক্ষই।

অল্প বৃষ্টি হলেই মসজিদে যাতায়াতকারী অনেক মুসল্লীকেই অনেকটা পথ ঘুরে অন্য রাস্তা ব্যবহার করে মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসতে হয়। তাছাড়া গ্রাম থেকে শহরে যাওয়ার পথে অনেকগুলো রাস্তা এঁকেবেঁকে চলে যাওয়া রাস্তাগুলো কয়েক ঘণ্টা একটানা বৃষ্টি হলেই জমে থাকে হাঁটু পানি। যা থেকে যায় কয়েক সপ্তাহ। যার কারণে ঐ সব মানুষকে পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি। যা সমাধান করা সম্ভব হয়নি দীর্ঘ কয়েকযুগেও।

এছাড়া গ্রামের অধিকাংশ পাড়া ও মহল্লায় একই সমস্যা। পানি জমে থাকার কারণে অনেক সময় প্রতিবেশীদের একে অপরের সাথে ঝগড়া বিবাদেও জড়াতে দেখা যায়।

সমস্যা সমাধানে আজ পর্যন্ত এগিয়ে আসেনি কোন মেম্বার বা চেয়ারম্যান। গ্রামের উন্নয়নের জন্য কাজ করা কোন সামাজিক সংগঠন ও নেয়নি কোন কার্যকরী পদক্ষেপ। আসলেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আশ্বাসই তাদের শেষ ভাষ্য। পরবর্তীতে সেটা নিয়ে ভাবার কারও সময় আর হয়ে ওঠেনা।

তবে সচেতনমহলের অনেকেই বলেছেন, যে যার বাড়ির সামনে বাধ দিয়ে উঁচু করে নিয়েছে যাতেকরে কোনদিকের পানি তাদের বাড়ির উপর দিয়ে না যেতে পারে। এভাবে উঁচু করে বাঁধ না দিলে সমস্যা এতটা প্রকট হতোনা। ফলে পানি সব রাস্তায়ই জমে থাকছে যা না শুকানো পর্যন্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়না।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালু করতে না পারলে এ সমস্যার কোন সমাধান হবেনা। তবে পৌর শহর ছাড়া গ্রামাঞ্চলে ড্রেনেজ ব্যবস্থা তেমন একটা দেখা না গেলেও গ্রামের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে হলে ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালু করার কোন বিকল্প নাই।