অনলাইন ডেস্ক : কিশোরগঞ্জে গলাকাটা অবস্থায় এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করেছিলো এলাকাবাসী। স্থানীয়দের দেখে ওই নারী হাত ইশারা করে বাঁচার জন্য আকুতি জানাচ্ছিলেন।

মঙ্গলবার সকালে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে একটি বাঁশঝাড় থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।তবে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

পুলিশের ধারণা তাকে জবাই করে মৃত ভেবে সেখানে ফেলে রাখা হয়।

এলাকাবাসী জানায়, উত্তর লতিবাবাদ লক্ষ্মীপুর গ্রামের মালেক ভূইয়ার বাড়ির পেছনে একটি বাঁশঝাড়ের নিচে গলাকাটা অবস্থায় মাটিতে বসে ছিলেন ওই নারী। স্থানীয়দের দেখে ওই নারী হাত ইশারা করে বাঁচার জন্য আকুতি জানাচ্ছিলেন। তিনি কথা বলতে পারছিলেন না।

তাকে একটি খাতা ও কলম এনে দিলে সেখানে কিছু একটা লেখার চেষ্টা করেন। তবে পারেননি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. আবুবকর সিদ্দিক জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। তাকে জবাই করার পর মৃত ভেবে জঙ্গলে ফেলে যায় বলে ধারণা করছে পুলিশ।

এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। হত্যায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে পুলিশের পাশাপাশি মাঠে নেমেছে পিবিআই। নিহতের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।