নেত্রকোনা সংবাদদাতা : নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলে দ্রুতগতিতে বাড়ছে ধনু নদের পানি। বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে চরম ঝুঁকিতে পড়েছে খালিয়াজুরী উপজেলার ফাটলকৃত কির্তনখোলাসহ বিভিন্ন হাওরের ফসলরক্ষা বেরিবাঁধ। ছুঁই ছুঁই করছে বাঁধের শেষাংশ। যে কোনো সময় বাঁধ ভেঙে হাওরের ফসল তলিয়ে যাওয়ার অশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।
এই সাত কিলোমিটার কির্তনখোলা বাঁধটি ভেঙে গেলে শুধু নেত্রকোনাই নয় সুনামগঞ্জের শাল্লার হাওরের ফসলও তলিয়ে যাবে বলে জানান কৃষকরা। কারণ এই বাঁধ শুধুমাত্র নেত্রকোনার হাওরাঞ্চল-মদন-মোহনগঞ্জ খালিয়াজুরী ছাড়াও সুনামগঞ্জের দিরাই, শাল্লার বেশ কিছু হাওরের জমি রক্ষা করে। কৃষকরা আরো জানান, আগাম জাতের ব্রি ২৮ ধান পাকলেও হাইব্রিড ২৯ সহ অন্যান্য ধান পরিপক্ষ হতে এখনো সময় লাগবে আরো ৮ থেকে ১০ দিন। তারপরও এরই মধ্যে তারা কাঁচা ধানই কেটে ফেলছেন।
খালিয়াজুরী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এইচ এম আরিফুল ইসলাম জানান, তারা বাঁধের উপরই রয়েছেন। পানি ছুঁই ছুঁই করছে। বাঁধ এখনো টিকিয়ে রেখেছেন। বাকি চেষ্টাও করে যাচ্ছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত জানান, সর্বোচ্চ চেষ্টা তারা করছেন। কিন্তু যেভাবে ধনুতে পানি বেড়েই যাচ্ছে বাঁধ উপছে পানি ঢুকতে পারে যে কোন সময়। তারপরও তারা প্রাণপণ চেষ্টা করেই যাচ্ছেন ফসল রক্ষায়। জেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, এবার ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮২৮ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এরমাঝে শুধুমাত্র হাওরেই আবাদ হয়েছে ৪১ হাজার হেক্টর।
১৬ এপ্রিল পর্যন্ত কাঁচা পাঁকা প্রায় ৫৫ ভাগ ধান কাটা হয়েছে দাবি করেন তারা
অন্যদিকে মাঠের বাস্তবতায় এখনো ধান পরিপূর্ণ হতে এক সপ্তাহ লাগবে বলে কৃষকরা জানান। তারপরও কাঁচা ধানই কাটছেন তারা। যে কারণে ধানের দাম কমসহ ওজনে কম হচ্ছে। সব মিলিয়ে কৃষকরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে রয়েছে বলে জানান মল্লিকপুর গ্রামের জলি তালুকদার, নিবারুন তালুকদারসহ হাওরের কৃষকরা।










