নিজস্ব সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার (SRHR) ও জলবায়ু অভিযোজন বিষয়ক এক যুব কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিরাক বাংলাদেশ আয়োজিত এই কর্মশালাটি ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের ইয়ুথ ক্যাটালিস্ট প্রকল্পের আওতায়, সুইডিশ উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা সিডা (Sida)-এর সহায়তায় সম্পন্ন হয়।
কর্মশালায় হাওর অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে প্রতিবন্ধকতা এবং তার টেকসই সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়। এতে স্থানীয় যুব প্রতিনিধি, স্বাস্থ্যকর্মী ও উন্নয়ন অংশীদাররা অংশগ্রহণ করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিরাক বাংলাদেশের ডেপুটি ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) মো. সালিম মিয়া। সেশন পরিচালনা করেন এসবিসিসি অফিসার রাবিউল ইসলাম। কর্মশালার উদ্দেশ্য ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন ইনোভেশন ও ইয়ুথ স্পেশালিস্ট মো. নাজমুল হাসান। সার্বিক সমন্বয় করেন ফাইন্যান্স অ্যাসোসিয়েট মো. নাজমুল ইসলাম।

কর্মশালার উদ্বোধনী বক্তব্যে সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, জলবায়ুজনিত চ্যালেঞ্জ বন্ধ করা সম্ভব নয়, তবে ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব। এজন্য অভিযোজন সক্ষমতা বাড়াতে হবে, বিশেষ করে মেয়েদের শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, ধর্মপাশা ও অনুরূপ অঞ্চলে এখনও অনেকেই বিদ্যালয়ে যেতে বা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারেন না। তাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
সেশনটির সভাপতিত্ব করেন তপনকান্তি ঘোষ, ডেপুটি ডিরেক্টর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, সুনামগঞ্জ। তিনি বলেন, আমাদের সম্পদ সীমিত হলেও একসঙ্গে কাজ করলে পরিবর্তন আনা সম্ভব। যুবকরাই পরিবর্তনের চালিকাশক্তি।
অংশগ্রহণকারীরা বন্যা, জলাবদ্ধতা ও দূরত্বের কারণে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হওয়ার নানা দিক তুলে ধরে স্থানীয় পর্যায়ে যুব নেতৃত্বাধীন কৌশল প্রণয়ন করেন, যা হাওর অঞ্চলের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে আরও সহনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে সহায়ক হবে।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন মো. মহাইমিনুল হক, সহকারী পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর; মোহাম্মদ শামসুল আলম, ফ্যামিলি প্ল্যানিং ফ্যাসিলিটেটর; এবং ডা. পুজা সাহা, SRHR কো-অর্ডিনেটর, Jhpiego।
কর্মশালার অভিজ্ঞতা ও প্রস্তাবনাগুলো জাতীয় পর্যায়ের হোয়াইট পেপারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যা যুবকেন্দ্রিক ও জলবায়ু অভিযোজন–সক্ষম যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা গড়ে তোলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।










