অনলাইন ডেস্ক : শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পলাশীকুড়া ও বাতকুচি আমবাগান এলাকায় চেল্লাখালী নদীর ওপর নির্মিত দুটি লোহার মিনি ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর কারণে যাতায়াতে দুর্ভোগে রয়েছেন সাত গ্রামের মানুষ। বর্তমানে সেতু দুটি পুরাতন জরাজীর্ণ হয়ে হেলে পড়েছে। বেহাল সেতু দুটি দিয়ে প্রতিদিন শতশত মানুষ ও যানবাহন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে যে কোনো সময় ভেঙে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এমতাবস্থায় ঐ স্থানে পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। প্রতিদিন রিকশা-ভ্যান, মোটরসাইকেল ও সাইকেলসহ পায়ে হেটে আশপাশের এলাকার মানুষ এই সেতু দুটি পার হন। এই সেতুতে দুই একটি ছোট যানবাহন কিংবা লোকজন উঠলেই নড়েচড়ে উঠে ও কাঁপতে থাকে। বিশেষ করে স্কুলগামী ছোট ছোট ছেলেমেয়ে ও বয়স্কদের চলাচল করতে অসুবিধা হচ্ছে। পাশাপাশি কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে অভাবনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
এই সেতু দুটি দিয়ে পোড়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, বাতকুচি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপজেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র মধুটিলা ইকোপার্কে যেতে হয়। এছাড়া পলাশীকুড়া, আন্ধারুপাড়া, বাতকুচি, আমবাগান বাজার, বেকিকুড়া, বোনারপাড়া, শেকেরকুড়া, কয়ড়াকুড়ি গ্রাম এবং একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের লোকজন প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকেন। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি আমবাগান ও পলাশীকুড়া এলাকায় এলজিএসপির অর্থায়নে স্থানীয়ভাবে চেল্লাখালী নদীর ওপর নির্মিাণ করা হয় দুটি সেতু। গত বছর পাহাড়ি ঢলে দুই পাশের মাটি ধসে যায়। পরে গ্রামবাসী মিলে ধসে যাওয়া অংশে গাছ ও বাঁশ দিয়ে কোনো মতে জোড়াতালি দিয়ে যাতায়াত করছেন।
বাতকুচি গ্রামের শিক্ষক জুয়েল মিয়া ও সুমী আক্তার জানান, সেতুর দুই পাশের সংযোগ অংশের মাটি সরে গেছে। সেতুতে মানুষ উঠলে নড়ে উঠে। তাই আমরা একা একা এই নড়বড়ে সেতুতে উঠতে সাহস পাই না। তাই এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা প্রয়োজন।
নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হান্নান বলেন, ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে সেতু এলাকা পরিদর্শন করে যতদ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।










