নিজস্ব প্রতিনিধি : ময়মনসিংহ নগরের গুলকীবাড়ি এলাকায় একটি ২০ তলা ভবনের পাইলিং কাজ চলাকালে পাশের একটি ৫ তলা ভবন হেলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ভবনটির সামনে ও পাশে ফাটল দেখা দেয়। আতঙ্কে ভবনটির মালিক ও ভাড়াটিয়ারা বাসা ছেড়ে চলে গেছেন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতের এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, গুলকীবাড়ি এলাকায় গ্রিনল্যান্ড ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেডের নির্মাণাধীন ‘কাজীবাড়ি’ নামের একটি ২০ তলা ভবনের পাইলিং কাজ চলছিল। এ সময় পাশের পাঁচতলা ভবনটি হেলে পড়ে।

স্থানীয়রা জানান, হেলে পড়ার পর ভবনটির সামনের অংশ ও পাশের দেয়ালে বড় ধরনের ফাটল দেখা দেয়। এতে ভাড়াটিয়ারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং প্রশাসনের নির্দেশে ভবনটি দ্রুত খালি করে দেন।

পাঁচতলা ভবনের ভাড়াটিয়া শিলা রানী বলেন, হঠাৎ ভবন হেলে পড়ায় আমরা খুব ভয় পেয়ে যাই। প্রশাসনের নির্দেশে বাসা ছেড়ে দিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার ফিরবো।

ভবনের মালিকের ভাই রফিকুল ইসলাম লিটন অভিযোগ করে বলেন,

বেশ কয়েক মাস ধরে ডেভেলপার কোম্পানি অপরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। এর ফলেই আমাদের পাঁচতলা ভবনটি হেলে পড়েছে। ভবনের সামনে ও পাশে ফাটল ধরে ফাঁকা হয়ে গেছে। যে কোনো সময় পুরো ভবনটি ধসে পড়তে পারে।

ঘটনার খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। তারা পরিস্থিতি পরিদর্শন করে ভবনটির আশপাশ নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন।

কোতোয়ালি মডেল থানার এএসআই লাল মিয়া বলেন, ২০ তলা ভবনের পাইলিং কাজের কারণে পাশের একটি পাঁচতলা ভবন হেলে পড়েছে। ঝুঁকি বিবেচনায় বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে গ্রিনল্যান্ড ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেডের প্রকৌশলী আবু সাঈদ বলেন, পাইলিং কাজের কারণে ভবন হেলে পড়েনি। এটি অন্য কোনো কারণে হেলে পড়েছে। আমাদের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে। তারপরও প্রশাসনের নির্দেশে ভবনটি হেলে পড়া ঠেকাতে মাটি দিয়ে সাপোর্ট দেওয়ার কাজ চলছে।

এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভবনটির ঝুঁকি মূল্যায়ন ও পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।