মুক্তাগাছা প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত আলোচনা সভায় এক মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত আলোচনা সভা স্থগিত ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধারা বক্তব্য রাখছিলেন। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা বছিরউদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বেই আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। তিনিই আমাদের জাতির পিতা। ১৯৭১ সালে ‘জয় বাংলা’ ছাড়া আর কোনো স্লোগান ছিল না।’ এই বাংলাদেশেই মুক্তিযোদ্ধা থাকবে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধেও মন্তব্য করেন।
তার বক্তব্য শেষ হওয়ার পরপরই সভাস্থলে উপস্থিত একটি পক্ষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। মুহূর্তের মধ্যেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং একপর্যায়ে মঞ্চে হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলা শুরু হয়।
পরবর্তীতে বিজয় দিবসের মঞ্চে জুলাই আন্দোলনে আহত আল মামুন মুজিববাদ ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন এবং মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্যের বিচার দাবি করেন। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র আলোচনা সভা স্থগিত ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠান স্থগিতের পর মুক্তিযোদ্ধারা সভাস্থল ত্যাগ করলেও জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধা ও আহতদের একটি অংশ সেখানে অবস্থান করে বিচার দাবি করতে থাকে।
পরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধা ও আহত ব্যক্তিবর্গ, মুক্তিযোদ্ধা এবং গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ঘটনাটি পরিকল্পিত। তাদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দের নেতৃত্বে আসন্ন নির্বাচনী পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতেই এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র বলেন, বিজয় দিবসের মঞ্চে এক মুক্তিযোদ্ধার বিভ্রান্তিকর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধারা প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেন। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে।







