ধোবাউড়া প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ঘোষগাঁও নেতাই নদীর উপর সেতুর অভাবে জনদুর্ভোগ চরমে। নদী পারাপারের জন্য ৩০ গ্রামবাসীর ভরসা বর্ষা মৌসুমে নৌকা আর শুকনো মৌসুমে বাঁশের সেতু। ভারত থেকে আসা নেতাই নদীর একপাশে ঘোষগাঁও ইউনিয়ন ও ওপর পাশে দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়ন। এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে চলাচলের জন্য ১২০ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি বাঁশের সেতু ব্যবহার করে যাতায়াত করে চালাচলকারীরা। ৩০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে।

নদীর একপাশে রয়েছে ঘোষগাঁও বাজার, এতিমখানা মাদ্রাসা, ঘোষগাঁও শেরেবাংলা উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডার গার্টেন, ভালুকাপাড়া মিশন-সহ সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়–য়া কয়েকশো শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হতে হয়। দুর্ঘটনার আতঙ্কে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা নদী পার করে দিয়ে যায় এবং পুনরায় নদীর পাড়ে অবস্থান করতে থাকে ছুটির অপেক্ষায়। নদী ঘেঁষা ইউনিয়ন ভিত্তিক ঘোষগাঁও বাজার থাকায়, দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের প্রায় অর্ধাংশ মানুষই ঝুঁকি নিয়ে এই বাজারে আসা যাওয়া করে। পারাপারের জন্য সেতু ভাড়া দিতে গিয়ে দিশেহারা চলাচলকারীরা।

এছাড়াও প্রায় সময় সাঁকো থেকে পরে হাত-পা ভাঙ্গারো খবর পাওয়া যায়। বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানির বেপরোয়া শ্রুত থাকায়, কিছুদিন পর পরই ঘটে দুর্ঘটনা। কয়েকবার নৌকা থেকে পরে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে মানুষ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দ্রুত সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছে চলাচলকারীরা। সেতু নির্মাণের দাবি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় লবিং তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন ধোবাউড়া-হালুয়াঘাট আসনের সাংসদ সদস্য জুয়েল আরেং ও স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম।