বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গে পরিচিত থাকলেও অনেকেই হরতাল ও অবরোধের মধ্যে পার্থক্য ধরতে পারেন না। দুটি কর্মসূচিতেই প্রায় একই ধরনের রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হলেও কিছু পার্থক্য রয়েছে।
সরকারের পতনের দাবিতে প্রায় ৯ বছর পর গতকাল রবিবার (২৯ অক্টোবর) সারা দেশে সকাল–সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছিল বিএনপি। সেই কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর আগামীকাল মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) থেকে তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে দলটি। স্বাভাবিকভাবেই হরতাল আর অবরোধের মধ্যে পার্থক্য কী— এ প্রশ্নটি এখন সবার মনে।
হরতাল-
হরতাল হচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের সম্মিলিত আন্দোলন। হরতালের সময় সকল কর্মক্ষেত্র, দোকান, আদালত বন্ধ থাকে। তবে সাধারণত অ্যাম্বুলেন্স, দমকলবাহিনী, গণমাধ্যমসমূহ এর আওতার বাইরে হয়ে থাকে। হরতাল গুজরাটি শব্দ। 'হর' মানে সব জায়গায় আর 'তাল' মানে তালা। অর্থাৎ হরতাল মানে সব জায়গায় তালা। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময় মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী হরতালের প্রবর্তন করেছিলেন। ১৯৪৮ সালে বাংলাদেশে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে 'তমুদ্দিন মজলিস' প্রথম হরতাল ডাকার পর থেকে এ দেশের রাজনীতিতে হরতাল বেশ প্রচলিত একটি কর্মসূচি।
অবরোধ -
কোনো দাবি আদায়ের একটি বিশেষ ব্যবস্থা হলো অবরোধ। অবরোধ হচ্ছে কর্মসূচি পালনে জনগণকে বাধ্য করা। অবরোধে মানুষকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে কর্মসূচি চলাকালে সড়ক, নৌ ও রেলপথ অবরোধ করে রাখা হবে। পরিবহন চলতে দেওয়া হবে না। অবরোধে মানুষের সাড়া দেওয়া বা না দেওয়ার কিছু নেই, বরং কর্মসূচি পালনে মানুষকে বাধ্য করা হয়। অবরোধের ইতিহাস বিভিন্ন আমলেই দেখা গেছে। গ্রিক উপাখ্যানে ইলিয়াড ও ওডেসিতে ট্রয় নগরী অবরোধের কথা আছে। ১১৮৭ সালে সালাউদ্দিন আইয়ুবি জেরুজালেম অবরোধ করেন।










