ফকরুদ্দীন আহমেদ (সংবাদদাতা) : ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ আলী আকন্দ মুজিব আদর্শে ত্যাগ, নীতি, সততায় বিভিন্ন সংগঠনের আপোষহীন নেতৃত্বে ৪০ বছরের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন অতিক্রম করছেন।

এ নেতা ত্রিশাল উপজেলার মোক্ষপুর ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। আমিরাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে এসএসসি পাশ করেন। পারিবারিক ভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজে ভর্তি হয়ে ছাত্রলীগে যোগ দেন।

১৯৮০ সালে নাসিরাবাদ কলেজে ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন, ৮১ সালে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও ছাত্র সংসদের স্পিকার মনোনিত, ৮২ সালে কলেজের ভিপি নির্বাচন করেন। ৮৩ সালে জেলা ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ৮৪সালে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ৮৮সালে আবারো দ্বিতীয় বারের মতন সাংগঠনিক সম্পাদক, ৯১সালে ভোটের মধ্যদিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ৯৪ সালে সারা বাংলাদেশে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক মূল্যায়নে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলী আকন্দকে দেশের

শ্রেষ্ঠ দশের মধ্য দ্বিতীয় সেরা সংগঠক হিসেবে পদক ঘোষণা করেন।

পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নেতার হাতে পদক তুলে দেন। ৯৭ সালে নিজ উপজেলায় ত্রিশাল আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা যুবলীগ সদস্য, ২০০৪ সালে জেলা সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ১৬সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দায়িত্ব পেয়ে গর্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। ৪০ বছর অতিক্রম করা এই সাংগঠনিক নেতা পদের দাপট দেখানোর কোন রেকর্ড নেই। নিজের এই বিশাল পরিচয় থাকার পরেও সাদা/ সিধে জীবন তাঁর পছন্দের। বাসে চড়ে ছাত্র জীবনের চলাফেরা আজো তাঁর নীতির অন্য এক বৈশিষ্ট্য।

উচ্চ বিলাসী জীবনের চেয়ে মুজিব আদর্শের বিশাল এক গোষ্ঠীর সমর্থন তাঁর বড় অর্জন। তদবিরসহ অনৈতিক কোন কর্মকান্ডে নিজেকে অনেক দূরে রাখেন। তাঁর আদর্শে গড়া জেলার হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফলতা নিয়ে কাজ করছেন। হয়ত একদিন আহম্মদ আলী আকন্দ জেলায় আরো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন আর রচিত হতে থাকবে তাঁর রাজনৈতিক বর্ণাঢ্য জীবনের সফলতা।